প্রতিটি ক্ষেত্রে নারী পাবে সমান অধিকার: জাতিসংঘে প্রতিমন্ত্রী চুমকি

বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীরা সমান সুযোগ ও অধিকার পাবে বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2017, 05:35 AM
Updated : 23 March 2017, 06:35 AM

যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘কমিশন অন দ্যা স্টাটাস অব উইমেন (সিএসডব্লিউ)’-এর ৬১তম অধিবেশনে ‘এনহ্যান্স স্যোসাল প্রটেকশন ফর পোভার্টি রিডাকশন অ্যান্ড ওমেন্স ইম্পাওয়ারমেন্ট’ শীর্ষক আলোচনায়  একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

 স্থানীয় সময় বুধবার  বাংলাদেশ ও কানাডার যৌথ আয়োজনে এবং ‘এফএও’  ও ‘ডব্লিউএফপি’র সহযোগিতায় ইভেন্টটির সঞ্চালনা করেন ‘ডব্লিউএফপি’র ম্যানন হাওয়ার্ড।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘মাল্টি সেক্টোরাল প্রোগ্রাম অন ভায়োলেন্ট এগেনিস্ট উইমেন’ প্রকল্পের পরিচালক আবুল হোসেন সামাজিক সুরক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে একটি পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন।

আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ বলেন, “আমাদের সরকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ১৪২টি বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে যেখানে রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী। আমরা জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ ও জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট প্রণয়ন করাসহ ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় নারী অধিকারকে সংরক্ষণ করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “ব্যবসায় নারীদের দক্ষতা বাড়াতে আমাদের সরকার বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি এসএমই সেক্টরের উন্নয়নে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছে। এছাড়া সরকার নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা, কর্মজীবী নারীদের জন্য হোস্টেল ও তাদের সন্তানদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপনসহ বিভিন্নমূখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।”

বিশ্ব ব্যাংকের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ২৩ দশমিক ২ ভাগ এবং অতি দারিদ্র্যের হার ১২ দশমিক ৯ ভাগে নেমে এসেছে।”

“দারিদ্র্য বিমোচন ও নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে আমরা এমডিজি বাস্তবায়নে সফল হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, এমডিজি বাস্তবায়নের এই অভিজ্ঞতা আমাদেরকে ২০৩০ সালের আগেই এসডিজি’র লক্ষ্যসমূহ অর্জনে সাহায্য করবে।’’ বলে জানান তিনি।

আলোচনা পর্বে আরও অংশ নেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম ও জাতিসংঘে নিযুক্ত ডেনমার্কের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত আইবি পিটারসন ও কানাডা মিশনের চ্যার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রাষ্ট্রদূত মাইকেল ডগলাস। তারা দারিদ্র্য বিমোচন ও লিঙ্গসমতার ক্ষেত্রে সামাজিক সুরক্ষার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন।

‘ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট’- এর প্রতিনিধি শালিনি রায় সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ে এবং ‘ফাও’- এর প্রতিনিধি কারলা মুকাভি নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন বিষয়ে আলাদা আলাদা প্রেজেন্টেশন করেন।

‘সিএসডব্লিউ’র এই ইভেন্টে অংশ নেওয়ার আগে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে মিশনের কর্মকর্তা ও তার ডেলিগেশন সদস্যের সাথে এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!