মানবপাচার রোধে জাতিসংঘে বাংলাদেশের ৫ সুপারিশ

দেশে দেশে মানবপাচার রোধে জাতিসংঘের কাছে পাঁচ দফা সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 March 2017, 10:02 AM
Updated : 17 March 2017, 12:26 PM

বুধবার নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদ আয়োজিত এক মুক্ত আলোচনায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এই সুপারিশ তুলে ধরেন।

মানবপাচার সংক্রান্ত বিষয় পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয়ের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোকাল পয়েন্ট তৈরি এবং সংঘাতসহ যে কোনো পরিস্থিতিতে মানবপাচার ও সংশ্লিষ্ট অপরাধের শিকার ব্যক্তিদের কাউন্টার ট্রাফিকিং আলোচনার শীর্ষে স্থান দেওয়ার বিষয়টি সুপারিশে প্রাধান্য পেয়েছে।

এছাড়া জাতিসংঘের কনভেনশন অ্যাগেইনস্ট ট্রান্সন্যাশনাল অর্গানাইজড ক্রাইমসের (ইউএনটিওসি) মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়া এবং পাচার ও এ সংশ্লিষ্ট অপরাধের মূল কারণ খুঁজে বের করার কথাও সুপারিশে বলা হয়েছে।

এসময় মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।

তিনি বলেন, ইউএনটিওসির সক্রিয় সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ সংঘবদ্ধভাবে মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে।

“আঞ্চলিক পর্যায়ে সার্ক ও বিমসটেকের আওতায় মানবপাচার প্রতিরোধ সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত করতে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ বৃদ্ধির উপরও জোর দিয়েছি।”

‘ট্রাফিকিং ইন পারসনস ইন কনফ্লিকট সিচুয়েশন: ফোর্সড লেবার, স্লেভারি অ্যান্ড আদার সিমিলার প্র্যাকটিসেস’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এই মুক্ত আলোচনায় আরও অংশ নেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পরিচালক আশরাফ এল নূর।

গুতেরেস বলেন, “বিভেদের এই সময়ে অনেক কিছুতে মতপার্থক্য থাকলেও, মানবপাচার রোধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি।”

জাতিসংঘের বিদ্যমান ব্যবস্থাতেই পাচারকারীদের শাস্তি দিয়ে মানবপাচারমুক্ত ভবিষ্যৎ গড়তে সদস্য দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।

এ আলোচনায় ভিয়েনা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক সংস্থা ইউএনওডিসির নির্বাহী পরিচালক ইউরি ফেদোতভ।

গত বছর এ সংস্থার প্রতিবেদনে জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত ১৯৩ রাষ্ট্রের ১০৬টিতেই মানবপাচারের ভয়াবহতা রয়েছে বলে জানানো হয়েছিল।   

কেবল ২০১৬ সালেই সারা বিশ্বের অন্তত দুই কোটি ১০ লাখ মানুষ পাচারের শিকার হয়ে বিভিন্ন দেশে নামমাত্র পারিশ্রমিকে কঠোর শ্রম দিতে বাধ্য হচ্ছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল।

ফেদোতভ বলেন, সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের সদস্যরা মানবপাচারকে তেমন ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে না।

“উল্টো এটিকেই তারা সবচেয়ে বেশি মুনাফাদায়ী ব্যবসা মনে করছে। কেননা, ধরা পড়লেও তাদের খুব একটা কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হচ্ছে না।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash.bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!