সিডনিতে বহুভাষী প্রবাসীদের উৎসব ‘পারামাসালা’

সিডনির পশ্চিম শহরতলির মানুষের কাছে অতি পরিচিত একটি অনুষ্ঠানের নাম হল ‘পারামাসালা’। এটি নিউ সাউথ ওয়েলসের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান।

সুস্মিতা পাল জেমী, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 March 2017, 11:42 AM
Updated : 12 March 2017, 11:43 AM

১০ থেকে ১২ মার্চ  নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজধানী সিডনির পারামাট্টা শহরের প্রিন্স আলফ্রেড স্কয়ারে এ বছরের 'পারামাসালা' অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

২০১০ সাল থেকে পারামাট্টা নদীর তীরে এই উৎসব হয়। পারামাট্টা থেকেই উৎসবের নাম 'পারামাসালা'। পারামাসালাতে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ অংশ নেন যাদের অধিকাংশ অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে প্রবাসী।

পারামাসালা হচ্ছে বিভিন্ন দেশের খাবার, ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি তুলে ধরার একটি যৌথ প্রয়াস। জাতি, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৩০টিরও বেশি দেশের মানুষ এতে অংশ নেন।

নিউ সাউথ ওয়েলসের পশ্চিম শহরতলিগুলোতে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী বাস করে। হয়তো অন্যান্য শহরের তুলনায় এখানে বাসা ভাড়া কম এটা একটা মূল কারণ। সিডনির পরেই দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হচ্ছে পারামাট্টা।

পারামাসালার প্রথম দিন প্যারেড দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠানের। এই প্যারেডে মানুষ তাদের নিজ নিজ দেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে নেচে গেয়ে আনন্দে মেতে উঠেন। এরপরে শুরু হয় স্টেজ শো। স্টেজ শোতে বিভিন্ন দেশের মানুষ তাদের ঐতিহ্যবাহী নাচ, গান পরিবেশন করেন। 

এটা একটা বিনোদনের উৎস পারামাট্টাবাসিদের কাছে। সারাদিন চলে নাচ, গান ও খাওয়া দাওয়া। বাচ্চাদের জন্য আছে বিভিন্ন ধরনের রাইড। এছাড়াও থিয়েটার, শিল্পকলা এসবের আয়োজন থাকে।

অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশিরাও এতে অংশগ্রহণ করে । বাংলাদেশি মুখরোচক বিভিন্ন ধরনের খাবারের স্টল বসে।  এছাড়া ভারত, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্থান, পাকিস্তান, আরব, থাইল্যান্ড, কোরিয়া, ফিলিপাইনসহ আরও অনেক দেশের খাবার ও পোশাকের স্টল বসে।

এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য হল বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের মাঝে বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তোলা। সবাই সবার সংস্কৃতিকে সম্মান জানানো ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক তৈরি করা।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash.bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!