মেক্সিকো দূতাবাসের ৭ মার্চ পালন

ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ৪৬ বছর পূর্তিতে 'বাংলাদেশ দিবস' পালনের পাশাপাশি রচনা প্রতিযোগিতা ও সেমিনারের আয়োজন করেছে মেক্সিকোর বাংলাদেশ দূতাবাস।

প্রবাস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 March 2017, 12:21 PM
Updated : 9 March 2017, 12:21 PM

মঙ্গলবার দেশটির রাজধানী মেক্সিকো সিটির 'ইনস্টিউটো টেকনোলজিকো অটোনোমো ডি মেক্সিকো' (আইটিএম) বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব আয়োজন করা হয় বলে সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব তানভীর কবির স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।   

এতে বলা হয়, 'অনুষ্ঠানে বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।'

এসময় 'স্পিচিসেস দ্যাট চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড' নামের একটি রচনা প্রতিযোগিতারও উদ্বোধন করা হয়।

আয়োজিত সেমিনারটির প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘ-বিশ্বব্যাংক কর্তৃক মেক্সিকোতে আয়োজিত 'অ্যাডভাইজরস মিটিং অফ হাই লেভেল প্যানেল অফ ওয়াটার'  (এইচএলপিডাব্লিউ) সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সুরাইয়া বেগম।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয় এর আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগের এশিয়া-প্যাসিফিক অনুবিভাগের অধ্যাপক ইউলিসেস গ্রান্ডস।

সুরাইয়া বেগম তার বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ৭ মার্চের গুরুত্ব শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দেন।  

শিক্ষার্থীদের সামনে তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বিস্ময়কর পরিবর্তন, সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের সাফল্য, দারিদ্র্য বিমোচনে অগ্রগতি, অভূতপূর্ব নারীর ক্ষমতায়ন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা বলার পাশাপাশি বাংলাদেশ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

তিনি 'বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী' বইটির ইংরেজি সংস্করণের একটি কপি বিশ্ববিদ্যালয়টির গ্রন্থাগারে সংরক্ষণের জন্য অধ্যাপক ইউলিসেস গ্রান্ডস-এর কাছে অনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।

মেক্সিকোয় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা তার বক্তব্যে পৃথিবীর স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে ৭ মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যায়িত করে শিক্ষার্থীদের ভাষণটির ইংরেজী অনুবাদ পড়ার জন্য আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, "ভাষণটি স্প্যানিশ ভাষায়ও অনুবাদ করা হবে।

অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক অধ্যাপক ইউলিসেস গ্রান্ডস তার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে 'বাংলাদেশ দিবস' পালন করার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসকে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং তার বক্তব্যে বর্তমান সদা পরিবর্তিত বৈশ্বিক রাজনীতিতে জন-কূটনীতির গুরুত্ব তুলে ধরেন।

তিনি দুই দেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠান শেষে দূতাবাসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশী সংস্কৃতিকে তুলে ধরার অভিপ্রায়ে বাংলাদেশি খাবার পরিবেশন করা হয় যা ছাত্র-ছাত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশংসিত হয়েছে।