প্রথম মার্কিন মুলুক ভ্রমণ

আমাদের ল্যাবের পোস্ট ডক্টরেট এক সহকর্মীর বেশ মন খারাপ। এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে একটা কনফারেন্সে তার যাওয়ার কথা ছিল আমেরিকায়। কিন্তু নতুন মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধান যে কয়েকটি দেশের নাগরিকদের আমেরিকা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তার মধ্যে একটি দেশের নাগরিক তিনি।

মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান খান, চীনের লুঝৌ শহর থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 March 2017, 12:10 PM
Updated : 3 March 2017, 05:36 PM

যদিও আদালত সে নিষেধাজ্ঞা রদ করেছে, কিন্তু আমেরিকা প্রবেশে কিংবা সেখানে চলাচলে ব্যাপক হেনস্থার খবর পাওয়া যায়। সে তার যাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিয়ে দিলো।

অধ্যাপক সাহেব আমাকে বললেন যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে। সোজা উত্তর দিয়ে দিলাম, এই মুহূর্তে আমার যাওয়ার প্রশ্নই আসেনা।

স্মৃতি হাতড়ানো শুরু করলাম। বছর দুয়েক আগে জীবনে প্রথমবারের মত গিয়েছিলাম ওদিকে, মার্কিন মুলুকে। 

আমেরিকা নিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানুষের মনে দুই ধরনের ব্যাপার কাজ করে। কারো কাছে মনে হয় 'পৃথিবীর স্বর্গভূমি', আবার কেউ কেউ ঘৃণার চোখে দেখে পৃথিবীর ওপর তাদের ছড়ি ঘোরানোর কারণে।

তবে বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে আমি অবশ্যই আমেরিকার একটা দিক শ্রদ্ধার চোখে দেখি। গত দুই শতকের বেশি সময় ধরে সারা পৃথিবীর আনাচে কানাচে থেকে মেধাবী মানুষগুলো মহাসাগর পাড় হয়ে যে দেশ গড়েছেন, এবং যেভাবে আধুনিক বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে মানুষের জীবনযাত্রা কে সহজ করে তুলেছেন, সে ব্যাপারটিকে অশ্রদ্ধা করা যায় না। অন্তত একবারের জন্য গিয়ে ঘুরে আসার একটা ইচ্ছা ছিলই।

আমার তৎকালীন কর্মস্থল 'লুঝৌ মেডিকেল কলেজ' আমাকে পাঠিয়েছিল 'আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশান অব ক্যান্সার রিসার্চ' এর কনফারেন্সে, যার ভেন্যু ছিল ফিলাডেলফিয়ার 'পেনসিলভেনিয়া কনভেনশন সেন্টার'।

লুঝৌ থেকে ছংছিং, বেইজিং হয়ে শিকাগো দিয়ে আমেরিকা প্রবেশ করে গন্তব্য ফিলাডেলফিয়ায় পৌঁছতে মোট সময় লাগল ৪২ ঘণ্টা! যদিও ভ্রমণের অধিকাংশ সময়ে বিরক্ত লেগেছে, বিমান থেকে দেখা বরফের আস্তর ঢাকা আর্কটিক মহাসাগর আর আলাস্কা দেখার অভিজ্ঞতাটা ছিল বেশ।

একটু মানসিক চাপে ছিলাম 'ইমিগ্রেশন চেকিং' নিয়ে। আমার গায়ের রঙ আর নামটাই এর কারণ। কত কথাই তো শোনা যায় হেনস্থা নিয়ে। আল্লাহর রহমতে কোন সমস্যা হল না। দুটো প্রশ্ন করেই পাসপোর্টে সিল দিয়ে ছেড়ে দিল তিরিশ সেকেন্ডে। 

আগে থেকে হোটেল বুকিং না থাকার কারণে ফিলাডেলফিয়া শহরে থাকার জায়গা পেলাম না। 'দেলাভার' নদী পার হয়ে নিউ জার্সির ব্রুকলিনে জায়গা হল। সেখান থেকে প্রতিদিন বাসে আসা-যাওয়া করতাম।

খাওয়া বলতে ছিল দুপুরে কনভেনশন সেন্টারে 'ভেজিট্যাবল স্যান্ডউইচ-কফি, আর রাতে হোটেলের পাশে 'সি-ফুড চায়নিজ ব্যুফে'। বেশ খানিকটা দূরে এক বাংলাদেশি খাবারের দোকান থেকে একদিন খেয়ে এসেছিলাম।

খাবার ব্যাপারটা আমাকে বেশ ভুগিয়েছে। রাস্তাঘাটে ফলমূলের দোকান খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু একটু পরপরই 'ফাস্টফুডে'র দোকান। ও জিনিসে আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। আমেরিকার রাস্তাঘাটে মানুষজনকে দেখলে বোঝা যায় 'ওবেসিটি' বা মুটিয়ে যাওয়া কী ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এখানে। তবুও দেদারছে চলছে ফাস্টফুড।  

কনফারেন্সে কত বড় বড় বিজ্ঞানিরা চারপাশে। তাদের বক্তব্য, বৈজ্ঞানিক পরিবেশনা। আসলে এরকম বড় পরিবেশে না গেলে নিজের ক্ষুদ্রতা ঠিকমত অনুধাবন করা যায় না।

প্রথম তিনদিন কনফারেন্সে ব্যস্ত ছিলাম। তৃতীয় দিন বিকেলে নিজেদের গবেষণাপত্র 'প্রেজেন্ট' করে একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। বেশ চমৎকার লাগল কয়েকটা দিন, বৈজ্ঞানিক পরিবেশে। 

চতুর্থদিন সকালে বের হলাম ফিলাডেলফিয়া দেখতে। কত ইতিহাস জড়িত এই ফিলাডেলফিয়ার সাথে! শহর-ভ্রমণের পর্যটন বাসে উঠে ঘুরলাম 'আমেরিকান লিবার্টি বেল', 'ইন্ডিপেন্ডেন্স হল', 'আফ্রিকান আমেরিকান মিউজিয়াম', 'মিউজিয়াম অফ আর্ট', 'ফিলাডেলফিয়া জু' (আমেরিকার প্রথম চিড়িয়াখানা)।

দেখা হলো- 'ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভ্যানিয়া', 'টেম্পল ইউনিভার্সিটি, 'ড্রেক্সেল ইউনিভার্সিটি', 'থমাস জেফারসন ইউনিভার্সিটি'।

বিকেলের দিকে আমন্ত্রণ ছিল এক 'চায়নিজ-আমেরিকান' অধ্যাপকের বাসায়। ডক্টর ঝাং আমার পি-এইচডি'র কো-সুপারভাইজার ছিলেন। এখন ফিলাডেলফিয়তেই থাকেন।

আমি, আমার বস অধ্যাপক ফু সাহেব, আর তার তিন চারজন বন্ধুবান্ধব। অধ্যাপক ঝাং সাহেব আমাদের জন্য 'বার্বিকিউ' পার্টি আয়োজন করলেন (যদিও প্রায় সবই মাংস, আমার জন্য ছিল শুধু ভুট্টা আর আলু কাবাব; ফল দিয়ে অবশ্য পুষিয়ে দিয়েছি)। বেশ কেটেছিল সন্ধ্যাটা তার বাসায়।

আগামী দিনগুলোতে ক্যান্সার গবেষণায় একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার নিয়ে কনফারেন্স শেষ হল। ফিলাডেলফিয়ার শেষ সন্ধ্যায় এক পারিবারিক বন্ধু সাবরিনার সাথে দেখা হল (পত্নীর বান্ধবী)। তিনি নিয়ে গেলেন এক পাকিস্তানি খাবারের দোকানে। বেশ লাগল তার আতিথেয়তা আর বিরিয়ানি, কাবাব। আমাকে বাস স্টেশনে পৌঁছে দিয়ে তিনি বিদায় নিলেন। এবারের গন্তব্য বোস্টন শহর, শিক্ষা এবং বিজ্ঞানের এক তীর্থভূমি।  

আমেরিকায় আমার আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুবান্ধব কেউ নেই। তবুও আমি হাতে কয়েকদিন সময় নিয়ে এসেছি। 'লুঝৌ মেডিকেল কলেজ'কে অনুরোধ করেছিলাম আমার রিটার্ন টিকেট যাতে কনফারেন্স শেষ হবার সাথেসাথেই না করে। আমার শিক্ষাজীবনের দুজন গুরু যারা এখন আমেরিকার নাগরিক, আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তাদের সাথে দেখা করার। 

বাস অপছন্দ হলেও তেমন মন্দ লাগেনি ফিলাডেলফিয়া থেকে বোস্টন ভ্রমণ। রাত ছিল, তাই বেশি সময় ঘুমিয়ে কাটানো গেল। বাকিটা সময় রাস্তার পাশের লাইট আর মৃদু চাদের আলোয় আমেরিকা দেখতে দেখতে সকাল হয়ে গেল। খুব ভোরে বোস্টন পৌঁছলাম। এখানে এপ্রিলের শেষেও বেশ ঠাণ্ডা। স্টেশনে এসেছেন ডক্টর লিয়াকত খান।

নিজ দেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি আমার মাস্টার্সের সুপার-ভাইজার ছিলেন। এখন বিখ্যাত হার্ভার্ডের ম্যসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত।  বিজ্ঞানের বৃহত্তর জগতের সন্ধান পেতে আমার জীবনে যেসব মহান শিক্ষক অবদান রেখেছেন, স্যার তাদের মধ্যে অন্যতম। বড় ভাল লাগল সাত বছর পর আমার অতি প্রিয় এবং অতি শ্রদ্ধেয় এই মানুষটিকে দেখে।

ফিলাডেলফিয়ায় ঠিকমত খাবার জোটেনি। স্যারের বাসায় গিয়ে খাবারের উপর হামলে পড়লাম। ম্যাডাম চমৎকার রান্না করেন। পুরো একটি দিন স্যার আমাকে নিয়ে ঘুরলেন বোস্টনের সমুদ্রসৈকত, 'হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি', 'ম্যসাচুসেটস জেনারেল হসপিটাল', 'বোস্টন ইউনিভার্সিটি', 'নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি', 'ডানা ফারবার' (ক্যান্সার গবেষণাকেন্দ্র)।

এইসব প্রতিষ্ঠান থেকে কত কত গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার বের হয়! বিজ্ঞানের কতসব রথি মহারথী এখানে কাজ করছেন এবং এখনো করে যাচ্ছেন। বিজ্ঞান এবং মহান বিজ্ঞানীদের প্রতি শ্রদ্ধা। 

পুরনো এক ছাত্রের জন্য পুরো একদিন স্যার ছুটি নিয়েছেন তার অত্যন্ত মুল্যবান এবং ব্যস্ত সময় থেকে; ভাবা যায়! স্যারের পরিবারের সাথে কাটানো সময়গুলো আমার জন্য অম্লান স্মৃতি হয়ে থাকবে। পরদিন স্যার আমাকে বাস স্টেশনে বিদায় দিয়ে গেলেন। 

পরের গন্তব্য নিউ ইয়র্ক। অর্ধদিন কাটালাম ম্যানহাটনে। ঘুরে ঘুরে দেখলাম 'এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং', 'ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার', 'রকফেলার সেন্টার', আরও কত গগনচুম্বী অট্টালিকা! কিছুক্ষণ সময় কাটালাম উপকূলের কাছে, দূর থেকে দেখলাম 'স্ট্যাচু অব লিবার্টি'।

খারাপ লাগেনি গগনচুম্বী ইমারতের শহর নিউ ইয়র্ক, তবে 'আধুনিক' শহর থেকে 'প্রাকৃতিক' আর 'ঐতিহাসিক' শহর বা জায়গা আমাকে বেশি টানে। সন্ধ্যায় আবার বাস। এবারের গন্তব্য মেরিল্যান্ডের পোটোম্যাক শহর।

গভীর রাতে বেথেসডা বাস স্টেশনে পৌঁছলাম। সেখানে আমাকে নিতে এসেছেন ডক্টর হাসিনা ম্যাডাম আর সঙ্গে স্যার (তার হাজব্যান্ড)। তারা দুজনেই 'এফডিএ'র কর্মকর্তা।

দেশে থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিকে যে দু-তিনজন শিক্ষকের স্নেহধন্য হয়েছিলাম, ম্যাডাম তারমধ্যে অন্যতম। সবুজ ছিমছাম শহর পোটোম্যাকে তাদের বাড়ি। দিনতিনেক ছিলাম তাদের বাসায়। 

আমি তাদের বন্ধু নই, কাছের কোন সহকর্মী নই, আত্মীয় নই, কেবল ফেলে আসা দিনের একজন ছাত্র। অথচ এতো চমৎকারভাবে তারা আমাকে আপন করে নিয়েছেন! তাদের আতিথেয়তায় আমি অভিভূত। চমৎকার আদুরে দুটো ছেলে মেয়ে আছে তাদের, আহনাফ আর আশফিহা।

তিনদিন ধরে তারা তাদের সমস্ত ব্যস্ততা, কাজকর্ম, সামাজিক অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে আমাকে সময় দিয়েছেন। প্রচুর ঘোরা হল, আর বাসায় শুধুই গল্প আর বিভিন্ন রকমের খাওয়াদাওয়া। কোথা দিয়ে সময় কেটে গেল!

মেরিল্যান্ড হল জীববিজ্ঞানের কেন্দ্রভূমি। আমার খুব আগ্রহ ছিল 'ন্যাশনাল ইন্সটিটিউটস অব হেলথ' (এনআইএইচ), 'ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন' (এফ ডি এ) এর প্রতি। বাইরে থেকে ঘুরে দেখা হল। এক বিকেলে গিয়েছিলাম বাল্টিমোরে সমুদ্র আর জাহাজ দেখতে।

আর এতো কাছে এসে ওয়াশিংটন ঘুরে দেখবনা, তাই কি হয়! ম্যাডাম ঘুরে দেখালেন 'স্পেস মিউজিয়াম', 'হিস্টোরি মিউজিয়াম', 'আর্ট মিউজিয়াম'। নাসা'র ব্যবহৃত রকেট, 'স্পেস ক্যাপ্সুল', পুরোনো থেকে আধুনিক বিভিন্ন মডেলের বিমান, বিশ্বের নানাস্থান থেকে সংগ্রহ করে আনা ঐতিহাসিক সব শিল্পকলা, প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে আসা বিভিন্ন সময়ে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর খুলি, প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীদের কঙ্কাল, ফসিল, মমি ইত্যাদি সব দেখতে দেখতে চমৎকার একদিন কেটে গেল।

স্যার মজা করে বললেন, "ওয়াশিংটনে এলে, ওবামার সাথে একটু চা-টা খেয়ে যাবে না?" গেলাম 'হোয়াইট হাউস'। ওইদিন অবশ্য ভেতরে যাওয়ার সু্যোগ নেই। দূর থেকেই দেখতে হল দুনিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাধর লোকের বাসভবন। কতো কতো মানবকল্যাণকর কাজের পরিকল্পনা এবং একই সাথে মানবধ্বংসকারী কাজের পরিকল্পনা এখানে করা হয়, কে না জানে! 

ফেরার সময় হয়ে এলো। আমার রিটার্ন টিকেট ছিল ফিলাডেলফিয়া থেকে। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ট্রেনে ফিলাডেলফিয়া এলাম। হাসিনা ম্যাডাম এলেন স্টেশনে বিদায় দিতে।

খুব আপনজনদের ছেড়ে যাবার সময় যেরকম খারাপ লাগে, তেমন লাগছিল। চোখের কোনায় একটু জলের অস্তিত্বও কি টের পেলাম? হ্যা, ঠিক যেভাবে পেয়েছিলাম বোস্টন এ লিয়াকত স্যারকে বিদায় দিতে গিয়ে।

আবার এক লম্বা ভ্রমণ। ওয়াশিংটন থেকে ফিলাডেলফিয়া, সান ফ্রান্সিসকো, সাংহাই, ছংছিং হয়ে লুঝৌ পৌঁছতে ৪৬ ঘণ্টা। শরীরে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকার কথা না। একগাদা উপহার দিয়ে দিয়েছিলেন স্যার আর ম্যাডাম।

সেগুলো পেয়ে আমার ছেলে খুব খুশি। আবার ফিরে এলাম আগের কর্মময় জীবনে। প্রথম মার্কিন মুলুক ভ্রমণ চমৎকার এক অভিজ্ঞতা হিসেবেই স্মৃতিতে রয়েছে।

এগুলো সব দু'বছর আগের কথা। আগামী দিনগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পলিসি কী হয় কে জানে! আবার কখনো ওদিকে যাওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তবে ক্ষুদ্র জ্ঞানে যা বুঝি, শিক্ষা এবং বিজ্ঞান অনুসারীদের বাদ দিয়ে 'মেক আমেরিকা গ্রেট' কিংবা আরো ব্যাপকভাবে বললে 'মেক ওয়ার্ল্ড গ্রেট' কখনই সম্ভব না। 

লেখক: প্রবাসী বাংলাদেশি।

ইমেইল: asadkhanbmj@yahoo.com 

এই লেখকের আরও লেখা

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash.bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!