সেই ডাকে সাড়া দিয়েই শহরে বসবাসরত বাংলা অন্তপ্রাণ বাঙালিরা এবার পালন করেছে অমর একুশে- বাঙালির শহীদ দিবস।
দিনটি এখানে কর্মদিবস হওয়াতে শহরের কর্মব্যস্ত বাঙালিরা উদযাপনের জন্য ২৫ তারিখটি বেছে নেন।
শহরের ১৮৪৫ বেলিমোট অ্যাভিনিউতে প্রবাসী বাঙালিরা ভোরবেলায় জড়ো হয়ে প্রভাতফেরির মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করেন।
একুশের গান- আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো... সুরে সুরে তারা নিজেদের হাতে বানানো পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন নিজেদের তৈরি শহীদ মিনারের পাদদেশে।
সুদূর প্রবাসে মাতৃভূমির একটুকরো অংশে তারা যেন ঢেলে দেন নিজেদের মন-প্রাণ।
ছোট্ট শিশু রোদেলা একুশের ইতিহাস উপস্থাপনা করে সবার জন্য। অরিত্র, নাভিদ, তাহসান আর সারিন কবিতা পড়েছে; গান গেয়েছে সাবিন, আতিক ও আহসান। ফারহান পিয়ানোতে বাংলা গান বাজিয়েছে।
ছোটদের অংশের শেষে ছিলো আবার রোদেলার নাচ। ‘আমি বাংলায় গান গাই' গানের সুরে রোদেলার নাচের সাথে অংশ নিতে হয়েছে তার মা-বাবা মাহমুদা আর রিপনকে।
বড়দের মধ্যে গান গেয়েছেন জহির ইসলাম ও বানু আক্তার, শফিউর রহমান শফিক, মাহমুদা সুলতানা ও কাজী আফজাল আহমেদ কপিল। কবিতা পাঠ করেছেন ইশরাত লতা, পারভীন আক্তার, তানিয়া রুবাইয়াত ও মিল্টন।
গত ১৬ ডিসেম্বর অন্টারিওর লন্ডনে প্রথম বারের মতো উদযাপিত হয়েছিলো বিজয় দিবস। তারই ধারাবাহিকতায় একুশে উদযাপন। এই শহরে বাঙালির একুশের উদযাপন এই প্রথম।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash.bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |