বুফে ব্রেকফাস্ট। টোস্ট, কেক, ডিম, মাশরুমের কারি, বাটার, মার্জারিন, বিফ বেকন, রোস্টেড ক্যাপসিকাম ও আলু, মিক্সড ফ্রুট, দই, ফলের জুস আর চা- কফি। বেশ রাজসিক ব্রেকফাস্ট। ঘুমকাতুরে বাচ্চারা তেমন কিছুই খেতে পারলো না।
পোখারা রওনা
ব্রেকফাস্ট সেরে ১০ মিনিটেই পৌঁছে গেলাম পোখারা বাস স্ট্যান্ডে। ট্যুরিস্ট বাসে পোখারার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হল সকাল ৭টায়। ৭-৮ ঘণ্টা লাগে পোখারা পৌঁছাতে।
একটু পর নিজেদের বাসকে সেখানে আবিষ্কার করলাম, আমাদের অনেক উপরে যেখানে একটু আগে আমরা ছিলাম। গাড়ি চলাচল দেখলাম শিহরিত হয়ে। চোখের সামনে হাজির বরফে ঢাকা অন্নপূর্ণা। দূর থেকে যেন সে আমাদের স্বাগত জানাচ্ছে। আমাদের চলার সাথী হল পাহাড়ি খরস্রোতা নদী ‘বাঘমতি’। নদীর পানি সবুজাভ সুন্দর। এই নদী আমাদের পোখারা পৌঁছানোর কাছাকাছি পর্যন্ত সঙ্গ দিয়ে গেল।
যাত্রার দুই ঘণ্টা পর বাঘমতি নদীর তীরে একটা রেস্টুরেন্টে যাত্রা বিরতি। হালকা কিছু খাবার খেয়ে কিছু ছবি তুলে আবার যাত্রা শুরু হল।
পরদিন প্যাকেজভুক্ত গ্রুপ সাইট সিয়িং, তাই নিজেদের মত ঘোরার সুযোগ হবে না। পাঁচ মিনিটের হাঁটাপথে পৌঁছে গেলাম ফেউয়া লেক। চারপাশে বড় বড় পাহাড়, পাহাড়ের পাদদেশে লেক। পাহাড়ের ছায়ায় লেকের সবুজাভ টলটলে পানি, দূরে বরফাচ্ছাদিত হিমালয়ের অন্নপূর্ণা। সব মিলিয়ে স্নিগ্ধ আর কাব্যিক সৌন্দর্য!
দু’টি ডিঙ্গি নৌকার ওপর কাঠের পাটাতন, তার ওপর বেঞ্চ বসিয়ে বিশেষ নৌযান যা বৈঠা দিয়ে চালানো হচ্ছিল। ইঞ্জিনের বিকট আওয়াজ থেকে মুক্ত, শান্ত, স্নিগ্ধ এখানকার পরিবেশ। নৌযানে চড়ার আগেই লাইফ জ্যাকেট পরতে হল সবার।
চলবে...
লেখক: প্রবাসী বাংলাদেশি
এই লেখকের আরও পড়ুন
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash.bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |