মঙ্গলবার বাংলাদেশে রংপুরে আদালতে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে হত্যার দায়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি দল জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচ জঙ্গির ফাঁসির রায় দেয়ার দেশটি নাগরিকদের সাথে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কথা হলে তারা এই আহ্বান জানান।
রায়ের খবর বুধবার জাপানের প্রায় সব কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে ফলাও করে প্রচার করা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওসাকার প্রধান শহর ওমেদায় কথা হয় স্কুল শিক্ষক দাইচি ফুকুদার সঙ্গে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "খবরটি আমি ইয়াহুর জাপানি ভার্সনে দেখলাম। অবশেষে বাংলাদেশ সরকার জাপানি হত্যার রায় দিতে পেরেছে জেনে আমি খুব খুশি হয়েছি।"
স্কুল শিক্ষক ফুকুদা বলেন, আমার জানা মতে অনেকে জাপানি বাংলাদেশে কাজ করে। কুনিও হোশি হত্যার পর অনেকের মনে শঙ্কা জন্মেছিল। তবে এই রায়ে অপরাধীরা ভয় পাবে বলে আমার মনে হয়।"
বুধবার সকালে কিতা সেনরি স্টেশনে দৈনিক 'মাইনিচি' পত্রিকা পড়ছিলেন পঞ্চাশোর্দ্ধ মাশিহিরো নাও।
তিনি বলেন, "হোশি সান (জাপানিদের নামের শেষে যুক্ত ডাক নাম) হত্যার রায় বাংলাদেশের প্রতি জাপানিদের আস্থা বাড়ছে। বাংলাদেশ ভয়ানক অবস্থা থেকে মাইমদোরু (বের) হয়েছে।"
তবে বাংলাদেশে যেন আমাদের নাগরিকরা সঠিক নিরাপত্তা পায় সেই ব্যাপারে দুই দেশের সরকারকেই সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের আলুটারি গ্রামে ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর গুলি করে হত্যা করা হয় ৬৬ বছর বয়সি জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে।
ঢাকায় ইতালীয় নাগরিক চেজারে তাভেল্লা হতাকাণ্ডের পাঁচ দিনের মাথায় একই কায়দায় রংপুরে জাপানি নাগরিক হত্যার ওই ঘটনা সে সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও আলোড়ন তোলে।
কুনিও হোশি যে এলাকায় মানুষ সেই আওয়াতের বাসিন্দা আওয়ামি ইয়ামাতু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আসলে হোশি সান নিহত হওয়ার পর আমি খুব হতাশ হয়েছিলাম। এরপর গত বছর আবারও ঢাকায় জঙ্গি আক্রমণ সত্যিই ভয়ানক ছিল আমাদের কাছে।"
ওসাকায় একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আওয়ামি ইয়ামুতু বলেন, "এরপরও বাংলাদেশ সরকার যে দোষীদের বিচারের মুখে আনতে পেরেছে তা খুশিরই খবর বটে।"
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash.bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |