মঙ্গলবার বিকালে কুয়ালালাপুরে বাংলাদেশ হাই কমিশনের হলরুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এ পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, “মালয়েশিয়ায় বিদেশি অবৈধ শ্রমিকদের বৈধকরণে চলমান রি-হায়ারিং প্রকল্পের আওতায় ই-কার্ড গ্রহণ করে মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে কাজ করার সেরা সুযোগ এটি।”
বাংলাদেশিদের এই সুযোগ হাতছাড়া না করার আহ্বান জানিয়েছে তিনি বলেন, "সময় ক্ষেপণ না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ই-কার্ড নিয়ে ইমিগ্রেশনের ধরপাকড় থেকে রক্ষা পান।"
তিনি জানান, এই সুযোগে বাংলাদেশি সাড়ে তিন লাখের বেশি শ্রমিক মালয়েশিয়ায় বৈধ হতে পারবেন। ই-কার্ড নিয়ে পাসপোর্ট করার জন্যে হাই কমিশনে আসলে তাদের দ্রুত পাসপোর্ট দেওয়ার ঘোষণা দেন শহীদুল।
গত এক বছর ধরে চলমান রি-হায়ারিং প্রক্রিয়ায় এক লাখ আটাশি হাজার বাংলাদেশি ইতোমধ্যে বৈধ হওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন বলে জানান তিনি।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ই-কার্ড প্রদান কর্মসূচি চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। ৩০ জুনের মধ্যে যখনই কার্ড করুক, এর মেয়াদ থাকবে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সাল পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে যাদের পাসপোর্ট নেই তারা হাই কমিশন থেকে পাসপোর্ট করে তারপর রি-হায়ারিং এর আওতায় ভিসা করতে পারবেন।
তবে তিন শ্রেণির শ্রমিক ই-কার্ডের পাবেন না। তারা হলেন, এক- পূর্বে মেডিকেল আনফিট, দুই- যাদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বা কোন চলমান মামলা আছে, তিন- যে কর্মী আগে বৈধভাবে কর্মরত ছিলেন, কিন্তু মালিককে অবহিত না করে পালিয়ে গেছেন এবং মালিক তার বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশনে অভিযোগ দাখিল করেছে।
বাকি সব শ্রমিক মালিকসহ সরাসরি পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন হেড কোয়ার্টার বা ১২টি প্রাদেশিক ইমিগ্রেশন অফিসে ই-কার্ডের জন্যে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। যাদের কোন ধরণের কাগজপত্র নেই তারাও পারবেন।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash.bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |