রসরাজকে একলাখ টাকা দিল প্রবাসীদের সংগঠন 'হিউম্যান ফার্স্ট মুভমেন্ট'

ফেইসবুকে ‘ধর্মীয় অবমাননা’র অভিযোগসংক্রান্ত মামলা থেকে সম্প্রতি জামিন পাওয়া  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলে রসরাজকে এক লাখ তের হাজার সাতশ’ টাকার তহবিল সংগ্রহ করে দিয়েছে 'হিউম্যান ফার্স্ট মুভমেন্ট'।

প্রবাস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Feb 2017, 12:38 PM
Updated : 22 Feb 2017, 04:34 PM

মঙ্গলবার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নে হরিণবেড় গ্রামে রসরাজের নিজ বাড়িতে গিয়ে এ আর্থিক সহযোগিতা পৌঁছে দেয় যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রবাসীদের অলাভজনক সংগঠনটির প্রতিনিধি জয়ন্ত বিশ্বাস এবং হোসেন রিয়াদ।

‘রসরাজ দাসের জন্য ভালোবাসা’ শিরোনামে একটি ফেইসবুক ইভেন্ট খোলার মাধ্যমে এই তহবিল সংগ্রহ করা হয়েছে বলে ইভেন্টের সমন্বয়ক জয়ন্ত বিশ্বাস জানান।

তিনি বলেন, “আমরা তহবিলের পুরো টাকাটা নিয়ে রসরাজের গ্রামের বাড়ি গিয়েছি, রসরাজের সঙ্গে কথা বলেছি। জেলে রসরাজ তার মাছ ধরার পেশায় ফিরে যেতে চায়। সে বাংলাদেশ ও তার নিজ গ্রাম ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে চায় না।” (ভিডিওতে রসরাজের সাক্ষাৎকার দেখুন)

'হিউম্যান ফার্স্ট মুভমেন্টে'র অন্যতম সংগঠক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট অজন্তা দেব রায় জানান, সংগঠনটির গুডউইল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে রয়েছেন- ইউনিসেফ এর আর্টিস্টিক ফ্রিডম অ্যাম্বাসেডর দিয়াহ খান, মানবাধিকার কর্মী গীতা শাহগাল, বিশিষ্ট কলামনিস্ট ও একুশে গানের রচয়িতা আব্দুল গাফফার চৌধুরী এবং অভিনেতা অরুনাভ রহমান অঞ্জনসহ অনেকেই।  

গত বছরের ২৯ অক্টোবর ফেইসবুকে ধর্মীয় অবমাননার ছবি পোস্ট করার অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে রসরাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

একই অভিযোগে পরদিন ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরে ১৫টি মন্দিরসহ হিন্দুদের শতাধিক ঘরে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

পরে ওই হামলার ঘটনায় নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আঁখির সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে আসে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অনুসন্ধানে। ঘটনার দুই মাস পর ঢাকা থেকে আঁখিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরই মধ্যে নাসিরনগরের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তকারীরা জানতে পারেন রসরাজের মোবাইল ফোন থেকে ধর্মীয় অবমাননার ছবি আপলোড হয়নি। ওই ছবি সম্পাদনা করা হয়েছিল হরিণবেড় বাজারে আল আমিন সাইবার পয়েন্ট অ্যান্ড স্টুডিও থেকে, যার মালিক জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তি।

সহযোগিতার হিসাব

কামরুল হাসান তুষার- ১০ ব্রিটিশ পাউন্ড, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক- ২০ ব্রিটিশ পাউন্ড, এস বর্ধন- ৫০ ব্রিটিশ পাউন্ড, আহমেদ নুরুল টিপু- ৫০ ব্রিটিশ পাউন্ড, মাসুদ আহমেদ- ১০ ব্রিটিশ পাউন্ড, বাপ্পি চৌধুরী- ২০ ব্রিটিশ পাউন্ড, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক- ৩০ ব্রিটিশ পাউন্ড, পার্থিয়া কে সাহা (রাজ সাহা)- ৩০ ব্রিটিশ পাউন্ড, সাইদা পাশা- ৫০ ব্রিটিশ পাউন্ড, রঞ্জন সিংহ রায়- ১০০ ব্রিটিশ পাউন্ড, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক- ১০ ইউএস ডলার (৭.৭৯ ব্রিটিশ পাউন্ড), মো. মাসুদুর রহমান- ৩ ব্রিটিশ পাউন্ড, সোহাগ দাস- ১০ ইউএস ডলার (৭.৮১ ব্রিটিশ পাউন্ড), আপু কর- ১ ইউএস ডলার, ইকবাল- ২০ ব্রিটিশ পাউন্ড, অনন্যা দাস- ১০ ব্রিটিশ পাউন্ড, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক- ৩০ ব্রিটিশ পাউন্ড, নাম  প্রকাশে অনিচ্ছুক- ৮০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (৪৭.৭ ব্রিটিশ পাউন্ড), নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক- ২০ ব্রিটিশ পাউন্ড, এস মিঠু- ৫০ ব্রিটিশ পাউন্ড, এস আলম- ৫ ব্রিটিশ পাউন্ড, এন জামান- ২০ ব্রিটিশ পাউন্ড, বিকাশ একাউন্ট নাম্বার ৩২০- ১০০ টাকা,  একাউন্ট নাম্বার  ১৭৪- ২০০ টাকা,  একাউন্ট নাম্বার ৯৭৬- ৫০০ টাকা,  একাউন্ট নাম্বার ৫০৩- ২০০ টাকা, একাউন্ট নাম্বার  ১৭৬- ১০০ টাকা,  একাউন্ট নাম্বার ৮০০- ১০২০ টাকা, একাউন্ট নাম্বার ৩৬৫- ১০০০ টাকা, একাউন্ট নাম্বার ১১৬- ১৬০০ টাকা, একাউন্ট নাম্বার ২৭৪- ৫১০ টাকা, একাউন্ট নাম্বার ৫৫৫- ১০২০ টাকা (রোমেল ভাই), একাউন্ট নাম্বার ৮৪৬- ৫১০০ টাকা (সমির কুমার দাস),  একাউন্ট নাম্বার ৬৩০- ৩০ টাকা,  একাউন্ট নাম্বার ৬৬৬- ৫০০০ টাকা (রেফারেন্স- রাজ), একাউন্ট নাম্বার ৮১৯- ১০০০০ টাকা, একাউন্ট নাম্বার ২৩২- ৫১০ টাকা, একাউন্ট নাম্বার ১৪৭- ২০ টাকা, একাউন্ট নাম্বার ০১০- ২০৪০ টাকা, ডিবিবিএল রকেট: একাউন্ট নাম্বার ৯৭৮- ৩০০ টাকা, একাউন্ট নাম্বার ৮১৪- ২০০ টাকা, নগদ জমা: মামুন- ৫০০ টাকা, সবুজ- ৫০০ টাকা, রুমা- ৫০ ব্রিটিশ পাউন্ড, সিন্থিয়া- ১০ ব্রিটিশ পাউন্ড, অপূর্ব অপু- ১০০ ব্রিটিশ পাউন্ড ও অলক দত্ত- ১০১ ব্রিটিশ পাউন্ড।