পর্তুগালে শহীদ বেদীতে প্রবাসীদের ঢল

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের ফুলের শ্রদ্ধা জানাতে পর্তুগালের লিসবনের স্থায়ী শহীদ মিনারে ঢল নেমেছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রবাসী বাংলাদেশদের।

রনি মোহাম্মদ, পর্তুগালের লিসবন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Feb 2017, 01:53 PM
Updated : 21 Feb 2017, 01:53 PM
পর্তুগালে একুশের দিনের প্রথম প্রহরে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত রুহুল আমিন সিদ্দিক।
পরে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেন পর্তুগাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি আরিয়ারো জয়ন্তা, লিসবন সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধিসহ পর্তুগাল আওয়ামী লীগ, পর্তুগাল বিএনপি, বৃহত্তর নোয়খালী অ্যাসোসিয়েশন ইন পর্তুগাল, বৃহত্তর ফরিদপুর অ্যাসোসিয়েশন অফ পর্তুগাল, পর্তুগাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশন, ইউরোপ প্রবাসী বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন পর্তুগাল শাখা, বাংলাপিটি পাঠক ফোরাম, পর্তুগাল সাংবাদিক ফোরামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
প্রবাসে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের শিশুরাও শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করে। একুশ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া এবং এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে অনেক মা-বাবা তাদের শিশু সন্তানদের নিয়ে আসেন শহীদ মিনারে।
শহীদ মিনারের প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত রুহুল আমিন সিদ্দিক তার বক্তব্যে বলেন, "একুশ মানে মাথা নত না করা। একুশ মানে প্রতিবাদ করা। একুশ মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা।

"বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন হয়েছিলো বলেই আজ আমরা বাংলায় কথা বলতে পারছি। এজন্য প্রতিটি মুহূর্ত একুশের চেতনা ধারণ করা উচিত আমাদের।"

তিনি একুশের চেতনায় উদ্ভাসিত হওয়ার জন্য সকল প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান। ধন্যবাদ জানান পর্তুগাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আরিয়ারো জয়ন্তা এবং লিসবন সিটি কর্পোরেশনকে লিসবনে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণে সহযোগিতার জন্য।
এদিকে একুশের অনুষ্ঠানমালাকে ঘিরে শহীদ মিনারের চারপাশে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয় পর্তুগালের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।