মোবাইল ক্যাম্পিং করে মালয়েশিয়ায় এমআরপি বিতরণ শুরু

প্রবাসীদের হাতে দ্রুত মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এআরপি) পৌঁছে দিতে মালয়েশিয়ার মালাক্কা প্রদেশে শেষ হয়েছে আঙুলের ছাপ নেওয়া এবং পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম।

রফিক আহমদ খান, মালয়েশিয়া থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Feb 2017, 01:22 PM
Updated : 12 Feb 2017, 01:24 PM

রোববার বিকালে দুই দিনব্যাপী 'মোবাইল ক্যাম্পিং' আকারে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি শেষ হয়। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম শনিবার সকালে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এ সময় তিনি বলেন, "প্রবাসীদের সেবা প্রদানে দূতাবাসের এ 'মোবাইল টিম' নিরন্তর কাজ করছে। মালয়েশিয়ার প্রত্যেকটি প্রদেশে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশি শ্রমিকদের হাতে ডিজিটাল পাসপোর্ট পৌঁছে দিতেই এই প্রচেষ্টা।"

উদ্বোধনের সময়ে মালাক্কায় কর্মরত শ্রমিক ও কমিউনিটি নেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, "বর্তমানে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার।

"বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  অসাধারণ কূটনৈতিক তৎপরতায় দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়েছে।"

তিনি বলেন, "আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ফোন আলাপের পরিপ্রেক্ষিতে মালয়েশিয়া সরকার বিদেশি কর্মীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ইস্যুর ঘোষণা দিয়েছে।"

ফলে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রায় সাড়ে তিন লাখ বাংলাদেশি কর্মী কাজের সুযোগ পাবেন বলে জানান তিনি।

রাষ্টদূত শহিদুল বলেন, "তা না হলে বাংলাদেশি কর্মীদের দেশে ফিরে আসতে হত।"

তিনি অবৈধ শ্রমিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, "সুযোগ বারবার আসেনা। এ সুযোগ হাত ছাড়া না করে দ্রুত বৈধ হতে আহ্বান জানাচ্ছি।"

মোবাইল ক্যাম্পে বাংলাদেশিদের আবেদন জমা দেওয়া এবং ডিজিটাল পাসপোর্ট বিতরণের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের কাউন্সিলর (শ্রম) মো. সায়েদুল ইসলাম, ফার্স্ট সেক্রেটারি এস কে শাহীন, পাসপোর্ট-ভিসা শাখার ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. মশিউর রহমান।

দূতাবাসের এ 'মোবাইল টিমে' রয়েছেন দূতাবাসের পাসপোর্ট শাখার অফিস সহকারী সুশান্ত সরকার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. তারিক আহমেদ।

ফার্স্ট সেক্রেটারি মশিউর রহমান জানান,  ঘোষিত ওয়ানস্টপ সার্ভিসের অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রদেশে মোবাইল টিমের মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণ ও নতুন আবেদন নেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, "আগত প্রবাসীদের একদিনের মধ্যেই জন্মনিবন্ধন জমা নেওয়া, আঙুলের ছাপ গ্রহণ ও ছবি তোলার কাজ সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ যেন এমআরপির আওতার বাইরে না থাকেন সেজন্যই এ ক্যাম্পিং।"

দূতাবাসের শ্রম শাখার কাউন্সিলর সায়েদুল ইসলাম বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মরত প্রবাসীদের সব ধরনের সেবা দিতে পেনাং, জহোর, ক্যামেরন হাইল্যান্ডে 'মোবাইল ক্যাম্পিং'- এর মাধ্যমে সেবা দেওয়া হয়েছে।

"আগামীতে অন্যান্য প্রদেশেও মোবাইল ক্যাম্পিংএর মাধ্যমে প্রবাসীদের কাছে হাই-কমিশনের সেবা পৌঁছে দেওয়া হবে।"