শনিবার রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশানের মেয়র আ জ ম নাছিরের জন্য আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দ আশরাফ বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটির মাধ্যমেসর্বস্তরের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করে তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করেছেন।এখন আপনারা নির্বাচন বয়কট করবেন বা নির্বাচন কমিশনকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবেন- এ হঠকারিতার দিন বাংলাদেশে শেষ হয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে আর সামরিক শাসনের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন হবে না। কেউ আসুক বা না আসুক নির্বাচন হবে। গণতান্ত্রিকভাবে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশ পরিচালনা করবে।
“খালেদা জিয়া নির্বাচন বয়কট করলে, নিজের কপাল নিজেই পোড়াবেন। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন,আমরাও আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
আবুধাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের মেয়র বলেন, “মুখে গণতন্ত্রের কথা বলেন, কিন্তু বাস্তবে তার অনুশীলন করলেন না, সেটা তো হয় না। গণতন্ত্রের ধারা শক্তিশালী করে সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে আসুন আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হই।”
রেমিটেন্স প্রেরণকারী প্রবাসীদের পাশে সবসময় থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চট্টগ্রামের মেয়র বলেন, “কোনো প্রবাসী চট্টগ্রামের বিমানবন্দরে পুলিশের হয়রানির শিকার হলে জানাবেন, আমরা ব্যবস্থা নেব।”
প্রবাসীরা যেন দালাল ও ফড়িয়াদের হাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে জন্য যাচাই-বাছাই করে তাদের বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।
মেয়র বলেন, “বিলবোর্ডমুক্ত চট্টগ্রাম আমরা দিয়েছি, হকার ও বর্জ্যমুক্ত চট্টগ্রামের জন্য কাজ করছি। নগরীর ১২ লাখ বস্তিবাসীর কল্যাণের জন্য আমাদের নানা পরিকল্পনা রয়েছে। আধুনিক চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠায় আমরা সব করব।”
অন্যদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি ইমরাদ হোসেন ইমু, সহ সভাপতি শওকত আকবর, বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, সৈয়দ আবু আহাদ, মীর আনিসুল হাসান, জাফর চৌধুরী, আহম্মদ আলী জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ সামাজিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রাস আল-খাইমার সভাপতি পেয়ার মোহাম্মদ, শাহ মোহাম্মদ মাকসুদ, সেলিম চৌধুরী, আবুল কাসেম, শেখ রুহুল আমিন, শাহজান মিয়াজী, মইন উদ্দীন, মনিরুল ইসলাম মনির, এম এ হান্নান হিরু, গোলাম কাদের ইফতি, এস এম আলাউদ্দীন, জাকির হোসেন জসীম, তারেক হোসেন রুবেলওআইউব খান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।