স্থানীয় সময় শুক্রবার নিউ ইয়র্কের জেএফকে এয়ারপোর্টে ‘নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশন এবং মজলিস আল সুরাহ’র উদ্যোগে এ বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে জুমার নামাজ শেষে ট্রাম্পের ওই নির্দেশের প্রতি ধিক্কার জানিয়ে অন্যান্য দেশের প্রবাসী ও আমেরিকান নাগরিকদের পাশাপাশি মানববন্ধন করে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের কম্যুনিটি নেতা ওসমান চৌধুরী বলেন,“ডোনাল্ড ট্রাম্প যে কাণ্ড শুরু করেছেন, তা অব্যাহত থাকলে সারাবিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্র বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। সেটি ভয়ের ব্যাপার। সেজন্যেই আমেরিকানরা আজ মুসলমানদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আমেরিকার ইতিহাস-ঐতিহ্যকেই সমুন্নত রাখতে চাচ্ছেন।”
বিক্ষোভে সংহতি প্রকাশ করতে আসেন দেশটির অঙ্গরাজ্য পার্লামেন্টের অ্যাসেম্বলিম্যান ডেভিড আই ওয়েপ্রিন।
জ্যামাকাই মুসলিম সেন্টারের সাবেক সেক্রেটারি জুন্নন এ চৌধুরী বলেন, “আমাদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন করার ক্ষমতা কোন প্রেসিডেন্টেরই নেই। ট্রাম্প যা করছেন, তা যুক্তরাষ্ট্রের জন্যেই শুধু ভয়ংকর নয়, সারাবিশ্বেও জন্যেই একটির অশনি-সংকেত।”
জেএফকে এয়ারপোর্টে বিপদগ্রস্ত অভিবাসীদের স্বেচ্ছায় আইনগত সহায়তাকারি এটর্নিদেরপক্ষে বক্তব্য দেন এটর্নি তাহানি আবুশি।
দক্ষিণ এশিয়ান-আমেরিকানদের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘দেশিজ রাইজিং আপ অ্যান্ড মুভিং (ড্রাম)’- এর সংগঠক কাজী ফৌজিয়া বলেন, “ট্রাম্পকে প্রতিরোধ করা সম্ভব না হলে আমেরিকার সুনাম ভূলুণ্ঠিত হবে-এতে কোন সন্দেহ নেই।”
এ সময় নিউ ইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের‘নো ব্যান’ক্যাম্পের আইনজীবীরা মুসলিম অভিবাসীদের আইনগত সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেয়।