স্থানীয় সময় রোববার রাতে নিউ ইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে একটি পার্টি হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান এবং পরিচালনা করেন সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ।
সভাপতির বক্তব্যে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “বুলেটে নয়, সরকার পরিবর্তন হবে ব্যালটে।তাই আগামী নির্বাচন হবে ২০১৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। বিএনপি যদি সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে দলটি মুসলিম লীগের মতো চিরতরে বিলীন হয়ে যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণের আস্থা অর্জন ও সুখে-দুঃখে তাদের পাশে থেকে জনকল্যাণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাজ করে যেতে হবে।”
সভায় ‘যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ’-এর সাংগঠনিক ভিত কীভাবে আরও শক্তিশালী করা ও সামনের জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে কাজের জন্যে জাতীয়ভিত্তিক একটি সমন্বয় সেল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনসাপেক্ষে সমন্বয় সেলের প্রধান হবেন সিদ্দিকুর রহমান-এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অনুষ্ঠিত সভায়।
সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সংগঠনের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী বলেন, “সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জোটকে আবারও ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সাধ্যমত কাজ করার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ।”
আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম চৌধুরী বলেন, “আমরা ইউএস কংগ্রেসে এবং আন্তর্জাতিক অন্যান্য ফোরামে যোগাযোগ রক্ষা করছি বাংলাদেশের এগিয়ে চলার ঘটনাবলি নিয়ে।”
সভায় অনেকের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি এম ফজলুর রহমান, আকতার হোসেন, সৈয়দ বসরাত আলী, মাহাবুবুর রহমান, আবুল কাশেম, সাছুদ্দিন আজাদ, লুৎফুল করিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক আইরিন পারভীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ, মহিউদ্দিন দেওয়ান, আব্দুল হাসীব মামুন, আব্দুর রহিম বাদশা এবং চন্দন দত্ত।
বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান টুকু, শিক্ষা সম্পাদক এম এ করিম জাহাঙ্গীর, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ফরিদ আলম , শ্রম সম্পাদক মিসবাহ আহমেদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শহীদ হাসান, উপ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক, উপ-প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনি, কোষাধ্যক্ষ আবুল মনসুর খান, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক সোলেয়মান আলী ও ইমিগ্রেশন সম্পাদক আব্দুর রহমান মামুন।
নির্বাহী সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাহানারা রহমান, ডেনি চৌধুরী, খোরশেদ খন্দকার, হিন্দাল কাদির বাপ্পা, শরাফ সরকার, জহিরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, আক্তার আহমেদ চৌধুরী, নূর নবী চৌধুরী, রেজাউল করিম চৌধুরী, আব্দুল হামীদ, আলাউদ্দিন জাহাঙ্গীর, শরীফ কামরুল হীরা, শামসুল আবেদিন, আলী হোসেন গজনবী, আমিনুল ইসলাম কলিন্স, আতাউল গনি আসাদ, হাসান মাসুক ও কায়কোবাদ খান, এম আনোয়ার, কামাল উদ্দিন ও ইলিওর রহমান।