২০১৬ সালে স্পেনে দুই দফা নির্বাচনের পরও সরকার গঠন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা সংসদে কণ্ঠভোটে সম্পন্ন হয়। এরপর পপুলার পার্টি আবারও ক্ষমতাসীন হয়। প্রেসিডেন্ট মারিয়ানো রাখোইর নেতৃত্বে নতুন বছর ২০১৭ সাল কীভাবে কাটবে? মারিয়ানো রাখোই অবশ্য তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সবাই মিলে নতুন বছরকে আরও ভালো করবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার মনে করছেন, নতুন সরকারের অধীনে বাংলাদেশ- স্পেন সম্পর্ক ও দু'দেশের বাণিজ্য আরও বাড়বে। বাংলাদেশ-স্পেন সম্পর্ক ভালো আছে এবং বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও অগ্রগতি লক্ষ্যণীয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্প্যানিশরা নতুন বছরে প্রত্যাশিত কর্মসংস্থান,বেকারত্ব হ্রাস, সর্বোপরি অর্থনৈতিক মন্দার কবল থেকে মুক্ত হওয়া নিয়ে চিন্তিত। স্পেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও নতুন বছরকে নিয়ে ভাবছেন।
'বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন স্পেন'-এর সভাপতি জামাল উদ্দিন মনির মনে করছেন, স্পেনে পপুলার পার্টি আবারও ক্ষমতায় আসায় দেশটির জন্য ভালোই হয়েছে। পুরনো অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে স্পেনের অর্থনীতিকে সচল রাখতে সহায়তা করবে পপুলার পার্টি সরকার।
ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম মজুমদার বলেন, "স্পেনে এমনিতেই বাংলাদেশি ব্যবসায়িরা তুলনামূলক ভালো করছেন। অল্প পুঁজি খাঁটিয়ে ভালো ব্যবসা করার সুযোগ এখনো স্পেনে আছে।"
নতুন সরকার ব্যবসায়িদের জন্য নতুন বছরে আরও সহায়ক হবেন বলে তিনি আশা করেন।
সংবাদকর্মী মিনহাজুল আলম মামুন মনে করেন, অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার পথ শিথিল করার যে আন্দোলন চলছে, তা নতুন বছরে নতুন সরকার আমলে নেবেন।
স্পেনের মারিয়ানো রাখোই-এর নেতৃত্বে গঠিত সরকার অর্থনৈতিক মন্দাকে কাটিয়ে ওঠার যে আশার বাণী শোনাচ্ছেন, তা যদি সফল হয়, তাহলে নতুন বছর হবে কর্মমুখর। আর এখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা পুরনো বছরের সকল অপ্রাপ্তিকে ধুঁয়ে-মুছে নব উদ্যোমে নতুন বছরকে সাজাবেন।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ, আড্ডা, আনন্দ বেদনার গল্প, ছোট ছোট অনুভূতি, দেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |