সেই বাল্যকালের অনুভূতি, প্রথম অ-আ পড়া, মায়ের হাতে ভাত খাওয়া, ভাই-বোনদের সাথে দুষ্টুমিতে ভরা এক শৈশব। এসব এখনও বড়ই মধুর স্মৃতি হয়ে আছে আমার মনে।
নিশ্চিন্তে সকালে ঘুম থেকে উঠে মায়ের হাতের তৈরি চা-রুটি খেয়ে স্কুলে যাওয়া, স্কুল থেকে এসে পড়া তৈরি করে খেলতে যাওয়া, আর সন্ধ্যাবেলায় রূপকথার রাজকন্যার গল্প শুনে ঘুমাতে যাওয়া- অফুরন্ত আনন্দে মন ভাসানো দিনগুলি আমার!
এই বয়সেই যদি আমি বলি, বাবারা একটা গল্প বলো। তখন ঘুরে-ফিরে তারা বলে, "মাম্মি, এতবড়ো ডাইনোসর ছিল।" তারপর যথাক্রমে ডাইনোসর থেকে গল্প শুরু হয়ে সুপারহিরোতে গিয়ে শেষ হয়।
খুব ছোটবেলা থেকে আমি প্রচুর বই পড়তাম। গল্প-কবিতা, রূপকথা আর প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়া আমার পুরোনো অভ্যাস। যখন আমি পড়তাম কাজলা দিদির কথা, তখন আমি আবেগে ভাসতাম। যখন পড়তাম গড়াই নদীর তীরে, তখন যেনো আমার মানসপটে ভেসে উঠত নদীর ধারের একখানা ঘর, বড় মায়ায় সাজানো সেই ঘর।
আমার শুধু মনে হয়, এর চেয়ে ঢের ভালো ছিল আমাদের বৌ-ছি খেলার সবুজ মাঠ, গল্প বলার আসর, মুগ্ধতা নিয়ে প্রকৃতিকে ভালবাসা।
হাজারও দামে যদি কেনা যেত, তবে আমি হয়তো আমার শৈশবে ফিরে যেতাম। আমি আবারও বাঁচতে চাইতাম সেই সময়ে, যেখানে হয়তো নিশ্চিন্তে আমি আবারও মাথা দুলিয়ে পড়তাম-
"আমি হবো সকাল বেলার পাখি
সবার আগে কুসুমবাগে উঠব আমি ডাকি।"
লেখক: যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি
এই লেখকের আরও পড়ুন
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ, আড্ডা, আনন্দ বেদনার গল্প, ছোট ছোট অনুভূতি, দেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |