শেষকৃত্যের ভারবহনে রাষ্ট্রকে চান প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধারা

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধারা তাদের মৃত্যুর পর শেষকৃত্যের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করেছেন।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Dec 2016, 07:58 AM
Updated : 31 Dec 2016, 07:58 AM

নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামীম আহসানের কাছে শুক্রবার ওই আবেদন পত্রের অনুলিপি হস্তান্তর করে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের সভাপতি রাশেদ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল বারী।

যুক্তরাষ্ট্রে দেড় শতাধিক প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা আছেন জানিয়ে ওই আবেদনপত্রে তাদের মৃত্যুর পর ব্যয়ভার বহনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

ফাউন্ডেশনের সভাপতি রাশেদ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যাচাই-বাছাইয়ের পর যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হবেন, তারা মারা গেলে এখানে শেষকৃত্য অথবা বাংলাদেশে নেওয়ার ব্যয়ভার যেন সরকার বহন করে তার জন্য রাষ্ট্রদূত বরাবর আবেদন করেছি।”

এর আগে গত বছর বিজয় দিবসের আয়োজনে প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের শেষকৃত্যে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা দেওয়াসহ মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৭ দফা দাবি জানানো হয়েছিল বলে রাশেদ জানান।

দাবিগুলোর মধ্যে ছিল- মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ২৫ হাজার টাকায় উন্নীত করা, প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার অর্থ সোনালী এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে দেওয়া, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, বঙ্গবন্ধুর নামে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের চিকিৎসায় হাসপাতাল স্থাপন, বাংলাদেশের সব হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিনা খরচে চিকিৎসা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বিনা খরচে উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা ও ১ ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণা করা।

এর মধ্যে অনেকগুলোই বাস্তবায়িত হয়েছে জানিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতার প্রকাশ করেন রাশেদ।

“তিনি সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি করেছেন। দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসনের পাশাপাশি তাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষা নেওয়ার পথ সুগম করেছেন। প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপারেও তিনি নির্দেশ দেবেন বলে আশা করছি।”

কনসাল জেনারেল শামীম ‍মুক্তিযোদ্ধাদের আবেদনপত্র প্রহণ করে বলেন, “জাতির বীর সন্তানদের যথাযথ সম্মান প্রদানে আমরা বদ্ধপরিকর। এরই মধ্যে তাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের ব্যবস্থা হয়েছে।

“প্রবাসের মুক্তিযোদ্ধারা ইন্তেকালের পর রাষ্ট্রীয় খরচে এখানে দাফন-কাফন কিংবা বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে যে আবেদন করা হলো, সেটি ত্বরান্বিত করতে অবশ্যই রাষ্ট্রদূতের কাছে সুপারিশ করব।”