স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্ক সিটির জ্যামাইকায় ‘পানাহার’ রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র শাখা ও হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশিদের ওপর পাকিস্তানিদের বর্বরতার জন্য ক্ষমা চেয়ে করিণ কুমারী বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়েছে কিন্তু পাকিস্তানের পরিস্থিতি ভয়াবহ’।
তিনি আরও বলেন,‘পাকিস্তানে মাসে গড়ে ২৫টি ধর্মান্তরিত করার ঘটনা ঘটছে। নির্যাতন নিপীড়ন সেখানকার প্রতিদিনের বিষয়।’
সংস্থার সভাপতি সানজসে ধানঝা বলেন,‘পাকিস্তানে একসময় ৪২৮টি মন্দির ছিল। এখন মাত্র ২০টি রয়েছে। অন্যগুলোকে বাণিজ্যিক অথবা আবাসিক হিসেবে লিজ দেওয়া হয়েছে। এভাবেই ধর্মীয় সংখ্যালঘু নিশ্চিহ্ন করার কৌশল নিয়েছে পাকিস্তানি প্রশাসন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতি রেভারেন্ড জেমস্ রায় এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক স্বপন দাস।
সভায় অন্যান্য নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালনা কমিটির সভাপতি অশোক কর্মকার,নয়ন বড়ুয়া,আমেরিকা হিন্দু ফাউন্ডেশনের সভাপতি জে ক্যানসারা,বাংলাদেশ থেকে আগত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ঊমা চক্রবর্তী, ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক প্রয়িতোষ দে ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিষ্ণু গোপ।
পাকিস্তানে হিন্দুদের বর্তমান অবস্থার ওপর একটি তথ্যচিত্র দর্শকদের দেখান হিন্দু সেবা সংগঠনের নেতা সঞ্জয় সিং কিরন।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ, আড্ডা, আনন্দ বেদনার গল্প, ছোট ছোট অনুভূতি, দেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |