যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন: বাংলাদেশি রশীদ মালিককে জেতাতে মাঠে প্রবাসীরা

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে ডেমোক্রেট পার্টির হয়ে আসন্ন নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি রশীদ মালিক।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Nov 2016, 07:21 AM
Updated : 3 Nov 2016, 07:21 AM

জর্জিয়ার আটলান্টায় কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট-৭ এ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিনই এ নির্বাচন হবে। জয়ী হলে মালিকই মার্কিন কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্ব করা প্রথম বাংলাদেশি।

মালিককে জয়ী করে আনতে এরই মধ‌্যে নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন প্রবাসীরা। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের নান্দুস পার্টি হলে তহবিল সংগ্রহে সমাবেশ হয়।

সমাবেশে পিপল এন টেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিফ ‘অভিবাসীদের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে’ রশীদ মালিককে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।

“তিনি এসেছেন বাংলাদেশিদের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষার প্রতীক হয়ে। তাকে জয়ী করতেই হবে,” বলেন তিনি।

সমাবেশে জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক বদরুল হুদা খান শিক্ষা বিস্তারে রশীদ মালিকের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

রশীদ মালিকের নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে অধ্যাপক বদরুল হুদা খান, শ্রমিকনেতা মাফ মিসবাহ ও পিপল এন টেকের ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিফ

“নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়েই থেমে থাকেননি রশীদ মালিক, আটলান্টায় একটি ভোকেশনাল কলেজও স্থাপন করেছেন। সেবামূলক কর্মকাণ্ডকে আরও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে এখন কংগ্রেসে লড়ছেন। বাংলাদেশি এবং অভিবাসী সমাজের কন্ঠস্বর হিসেবে ক্যাপিটল হিলে তার মতো একজন পরিশ্রমী মানুষের ভীষণ প্রয়োজন,” বলেন ই-লার্নিং এডুকেশনের উদ্ভাবক বদরুল হুদা।

সমাবেশে অ‌্যালায়েন্স অব সাউথ এশিয়ান-আমেরিকান লেবার (এসাল) এর প্রধান মাফ মিসবাহ জর্জিয়ায় বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় নাগরিকদেরও মালিককে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্র সুপ্রিম কোর্টের অ‌্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন, হাসানুজ্জামান হাসান।

জামালপুরে জন্মগ্রহণকারী রশীদ মালিকের শৈশব কেটেছে ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে। তিনি ১৯৭৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন।

তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের সঙ্গে রশীদ মালিক

বাবা আবদুল ওয়াদুদ মালিক ছিলেন আইনজীবী; মা মমতাজ মালিক ছিলেন রাজধানীর গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের অধ্যক্ষ।

জর্জিয়ার মালিক কলেজের প্রতিষ্ঠাতা রশীদ মালিক এখন লরেন্সভিলে থাকেন। কানসাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট করা এ প্রার্থী ২০১০ সালে ডেমক্রেটিক পার্টির হয়ে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের সিনেট নির্বাচনে অংশ নিলেও জিততে পারেননি।

মালিক তার নির্বাচনী এজেন্ডায় বৈষম্যহীন বেতন-ভাতা, মাইক্রো-ইন্টারপ্রেনারশিপ পদ্ধতি, যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্বাস্থ‌্য ও শিক্ষা, সবুজ ও নিরাপদ জ্বালানি, প্রতিবন্ধী, প্রবীণ ও বয়স্ক নাগরিক এবং পুলিশি সেবার উন্নয়নে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন।

এর আগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিসেবে কংগ্রেসে ছিলেন মিশিগানের হেনসেন ক্লার্ক। ডেমক্রেটিক পার্টি মনোনীত ক্লার্কের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে; ২০১১-২০১৩ সাল পর্যন্ত এক মেয়াদে তিনি ডিস্ট্রিক্ট-১৩ থেকে কংগ্রেসম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।