স্পেনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়

প্রবাসীদের সার্বিক সেবার পরিধি বৃদ্ধি ও সম-সাময়িক কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছে স্পেনের বাংলাদেশ দূতাবাস।

স্থানীয় সময় ১৯ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার মাদ্রিদে অবস্থিত দূতাবাস হলরুমে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ দূতাবাসের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও মুক্ত আলোচনা করেন।

স্পেন বাংলাদেশ দূতাবাসের সমসাময়িক অর্জন প্রসঙ্গে মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ জানান, স্পেন ও বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি দাবি করেন, মাদ্রিদ মিশনের দক্ষতায় গত বছর বাংলাদেশ রপ্তানি খাতে স্পেনে বৈশ্বিকভাবে চতুর্থ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।

তিনি জানান, বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, ওষুধ পণ্য, সিরামিক সামগ্রী, হিমায়িত খাবার, মাছ এবং কৃষিজাত পণ্য সামগ্রীকে স্পেনের বাজারজাত করার প্রক্রিয়ায়ও মাদ্রিদ মিশন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।

শফিউল্লাহ বলেন, "বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে রপ্তানি আয় এক দশমিক নয় বিলিয়ন ডলারের যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল, মাদ্রিদ মিশন তা পূরণ করতে পেরেছে।"

তিনি বলেন

,

"মাদ্রিদ মিশন স্প্যানিশদের বাংলাদেশে বিনিয়োগেও উৎসাহিত করছে। যার ফলশ্রুতিতে

‘

ইসোলাক্স করসান

’

নামক একটি স্প্যানিশ মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি ঢাকা

,

খুলনা এবং সিলেটে পাওয়ার প্লান্টস এ সহযোগিতা করছে।"

তিনি জানান, ঢাকার মিরপুর অঞ্চলের ১০টি এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও সেনিটেশনে সহযোগিতা করার চুক্তি করেছে স্প্যানিশ প্রতিষ্ঠান ‘কবরা- তেদাগুয়া’।

মাদ্রিদ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর শফিউল্লাহ জানান, প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দিতে বাংলাদেশ দূতাবাস অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (www.bangladeshembassy.es) তৈরির পাশাপাশি ফেসবুকেও বাংলাদেশ দূতাবাসের পেইজ খোলা হয়েছে।

এর মাধ্যমে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টসহ দূতাবাসের যাবতীয় তথ্যাবলী পাওয়া যাবে।

তিনি জানান, ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ থেকে স্পেনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট দেয়া শুরু হয় এবং এখন পর্যন্ত সাড়ে ৮ হাজার মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট দেয়া হয়েছে।

শফিউল্লাহ বলেন, "বার্সেলোনায় প্রবাসি বাংলাদেশিদের সংখ্যা বেশি থাকায় ওইখানে প্রতি দুই মাস পরপর কন্সুলেট সেবা দেয়া হচ্ছে। যার ফলে বার্সেলোনার প্রবাসী বাংলাদেশিদের অর্থ ও সময় খরচ কমে গেছে।"

মুক্ত আলোচনায় বাংলাদেশ দূতাবাসের হেড অফ চ্যান্সেরি হারুণ আল রাশিদ, ফার্স্ট সেক্রেটারি  (লেবার উইং) মোহাম্মদ শরিফুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।

প্রবাসে মৃত্যু হলে সরকারি খরচে বাংলাদেশে পাঠানোর দাবি স্পেন প্রবাসিদের দীর্ঘদিনের।

এ প্রসঙ্গে দূতাবাসের হেড অব চ্যান্সেরি হারুণ আল রাশিদ বলেন

,

মৃত্যুর পর প্রবাসিদের মরদেহ সরকারি খরচে বাংলাদেশে পাঠানোর কার্যক্রম মাদ্রিদ মিশন শুরু করেছে। 

বাংলাদেশ দূতাবাসের এ আলোচনায় সংবাদকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন একাত্তর টিভি'র প্রতিনিধি নূরুল ওয়াহিদ, বাংলা ভিশন প্রতিনিধি মিনহাজুল আলম মামুন, বাংলা টিভি প্রতিনিধি সেলিম আলম, আমার দেশ ও চ্যানেল আই মাদ্রিদ প্রতিনিধি বকুল খান, দেশকণ্ঠ সম্পাদক  একেএম জহিরুল ইসলাম ও  চ্যানেল আই স্পেন প্রতিনিধি সাহাদুল সুহেদ।