নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশিসহ সংখ্যালঘুদের ব্যবসায়িক অধিকার সংরক্ষণের ঘোষণা

বাংলাদেশিসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও নারী-মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য নিউ ইয়র্ক সিটির সব টেন্ডার ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের ৩০% সংরক্ষণের পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাসিয়ো।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2016, 10:36 AM
Updated : 30 Sept 2016, 10:36 AM

বুধবার ব্রুকলিন নেভি-ইয়ার্ডে এক সমাবেশ থেকে তিনি এই ঘোষণা দেন।

এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ২২ জন ব্যবসায়ীকে আমন্ত্রন জানানো হয়। এদের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশি ও দক্ষিণ এশিয়ান ছিলেন ‘আরএলবি গ্রুপ অব কর্পোরেশন’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকতার হোসেন বাদল।

সমাবেশে মেয়র বলেন, “বর্ণ, লিঙ্গ অথবা জাতীয়তাভেদে সব নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা অঙ্গিকারাবদ্ধ। সংখ্যালঘু ও নারী-মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যখন আমাদের অর্থনীতিতে সম্পৃক্ত হবে, তখনই এ প্রত্যাশা পূরণ হওয়া সহজ হবে।”

অধিকার সুরক্ষার ঘোষণা অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীরা। ছবি-বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

২০২১ সালের মধ্যে এ টার্গেট পূরণের অঙ্গিকার নিয়ে ইতোমধ্যে সিটির ডেপুটি মেয়র রিচার্ড ব্যুরের নেতৃত্বে ‘সংখ্যালঘু ও নারী-মালিকানাধীন ব্যবসা’ সংক্রান্ত একটি অফিস চালু হয়েছে। সেখান থেকে যাবতীয় পরামর্শ ও সব টেন্ডারে সংখ্যালঘু তথা অভিবাসীদের অধিকার সুরক্ষার ব্যাপারগুলো দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশিসহ দক্ষিণ এশিয়া, চীন ও ল্যাটিন নির্মাণ ব্যবসায়ী এবং নগর প্রশাসনের অধীনস্থ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সেবামূলক সংস্থা খাদ্য ও পণ্য সরবরাহের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে এতোদিন অভিযোগ ছিল।

এই পরিস্থিতির অবসানে গত নির্বাচনে বিল ডি ব্লাসিয়ো সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি কর্মকৌশল নেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো।

চলতি অর্থ বছরে ৬৯ বিলিয়ন ডলারের উন্নয়নকর্ম বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য ধরা হয়েছে। এর বাইরে রয়েছে অবকাঠামোগত উন্নয়নের বরাদ্দ। সবকিছুতেই ৩০% সংরক্ষণ করা হবে মাইনোরিটি তথা সংখ্যালঘু ও নারী-মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য।

অধিকার সুরক্ষা ঘোষণায় নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাসিয়োর সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আকতার হোসেন বাদল। ছবি-বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

আকতার হোসেন বাদল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এর ফলে বাংলাদেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের মধ্যেও স্বপ্ন পূরণের প্রত্যাশা বেড়ে গেল। তবে এ সুযোগ কেবল তারাই পাবেন যারা মাইনোরিটি কন্ট্রাক্টর/বিজনেসম্যান হিসেবে তালিকাভুক্ত রয়েছেন।”

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নতুন অফিসের উপদেষ্টা যোনেল ডরিস, পরিচালক মায়া উইলি, নিউ ইয়র্ক সিটির পাবলিক এডভোকেট লেটিসা জেমস ও অঙ্গরাজ্য এ্যাসেম্বলির স্পিকার কার্ল হিস্টি বক্তব্য রাখেন।