নিউ ইয়র্কে কর্মরত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সংগঠন ‘আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব’ আয়োজিত ‘জঙ্গিবাদ দমনে মিডিয়ার ভূমিকা’ শিরোনামের এক মুক্ত আলোচনায় একথা বলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
তিনি বলেন, “আমরা সাফল্যের সঙ্গে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করছি। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের অর্থ ও অস্ত্রের যোগানদাতাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন।
“যেসব দেশে জঙ্গি হামলা হয়েছে, সে সব দেশে কেউ বলেনি- গণতন্ত্রহীনতার কারণে জঙ্গিবাদের প্রসার ঘটছে। শুধু আমাদের দেশে বিএনপির নেতারা এই অভিযোগ করেছেন।”
কোনো দলীয় মতাদর্শের ওপর ভিত্তি না করে তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সংবাদ লিখতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান দীপু মনি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে ‘আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব’র সভাপতি নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে এবং প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দর্পণ কবীরের সঞ্চালনায় এই আলোচনা সভা হয়।
অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব মো. ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাবান মাহমুদ, দৈনিক আজাদী পত্রিকার সম্পাদক এম এ মালেক, আওয়ামী লীগ নেতা সুভাষ সিংহ রায়, দৈনিক ইত্তেফাকের বিশেষ প্রতিনিধি ফরাজী আজমল হোসেন, ঠিকানা পত্রিকার সম্পাদক লাবলু আনসার, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শামসুল হক, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক ইলিয়াস খান, বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, সাপ্তাহিক প্রবাস’র সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ বক্তব্য দেন।
শাবান মাহমুদ বলেন, “গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে অনেকে হলুদ সাংবাদিকতা করেছেন। সমস্যা চিহ্নিত করবেন এবং সমাধানের পথ বলে দিবেন সাংবাদিকরা। সাংবাদিকের রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে, তবে তা যেন লেখায় প্রকাশ না পায় তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।”
দৈনিক আজাদির সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, “আমার মূল কথা জঙ্গিবাদ শব্দটিতেই আছে। জঙ্গি এবং বাদ। আমাদের যে কোনো উপায়ে জঙ্গিকে বাদ দিতে হবে। এর জন্য সচেতনতা সংবাদিকদের তৈরি করতে হবে।”
ঠিকানা’র সম্পাদক লাবলু আনসার বলেন, “বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি হলে নিউ ইয়র্কে দু-একটি পত্রিকায় তাদের শহীদ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এটা অপ-সাংবাদিকতা।”
সাপ্তাহিক প্রবাস সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ বলেন, “বাবা মায়ের সঙ্গে সন্তানের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। এর জন্য সন্তানদের বিভিন্ন মত-পথের মানুষ তাদের বিভ্রান্ত করার সুযোগ পাচ্ছে। এ কারণেও কেউ কেউ জঙ্গিবাদে জড়িত হয়ে পড়ছে।”
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক রেজাউল করিম রেজনু, কম্যুনিটি লিডার হাসানুজ্জামান হাসান উপস্থিত ছিলেন।