এ ধরণের ‘অশুভ’ কাজ থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এতে বলা হয়, “কারো পদক বাতিল করে, নাম মুছে ফেললেই ইতিহাস শেষ হয়ে যায় না, সত্য-সত্যিই থাকে।
“শহীদ জিয়াউর রহমানের পদক বাতিল করা থেকে বিরত থাকুন। নাহলে জনগণ সকল অপচেষ্টাকে জীবন দিয়ে প্রতিহত করবে। জাতীয়তাবাদী শক্তি শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও শহীদ জিয়ার পদক বাতিলের অশুভ পরিকল্পনা প্রতিরোধ করবে।”
জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারের জন্য সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে গত ২৬ অগাস্ট দুটি পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত এক সদস্য ‘নাম প্রকাশ না করার শর্তে’ একটি পত্রিকাকে জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসন অবৈধ ঘোষণা করে উচ্চ আদালতের রায়ের বিষয়টি উল্লেখ করে গত জুলাই মাসে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে একটি নথি কমিটিতে পাঠানো হয় বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই মন্ত্রিসভা কমিটি পদক প্রত্যাহারের সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সরকারের এ ধরণের সিদ্ধান্ত ‘জিয়া পরিবারের প্রতি ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের’ অংশ দাবি করে নিউ ইয়র্ক বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, “এগুলো করে সরকার প্রকৃত ইতিহাস মুছতে পারবে না। সরকারের মনে রাখা উচিত, ক্ষমতা এক দিনের জন্য নয়।”