রোববার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে দলটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক এহসানুল হক মিলনের উপস্থিতির সময় ঘটনার সূত্রপাত হয় বলে বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।
ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে ২০১৩ সালে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেককে খালাস এবং তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল জজ আদালত।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের রায়ে হাই কোর্ট বৃহস্পতিবার মামুনের সাজা বহাল রেখে তারেকের খালাসের রায় বাতিল করে। খালেদা জিয়ার ছেলে তারককে সাত বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
এর প্রতিবাদেই রোববার বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় ইয়র্ক বিএনপির আব্দুল লতিফ সম্রাটের নেতৃত্বাধীন অংশ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “সমাবেশের শুরুতেই বিএনপি নামধারী সরকার সমর্থকরা প্রধান অতিথি এহসানুল হক মিলন ও নিউ ইয়র্ক বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। তারা বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে ব্যানার, পোস্টার কেড়ে নেয়।
“আওয়ামী-বাকশালীদের মদদপুষ্টরা বিএনপিতে ঘাপটি মেরে রয়েছে। তারাই এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্যে দায়ী। তারেক রহমানকে যারা রাজনীতি থেকে নির্বাসনে দিতে চায় এটি তাদেরই কাণ্ড।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “কমিটি গঠনের নামে মিলনের চাঁদাবাজিতে ক্ষিপ্ত নেতাকর্মীরা নিউ ইয়র্ক বিএনপির সমাবেশে তাকে হেনস্তা করে।”
পরে সেখানেই এক সংবাদ সম্মেলনে জিল্লুর ও মাওলানা মোহাম্মদ অলিউল্লাহ নেতৃত্বাধীন অংশ সাবেক প্রতিমন্ত্রী মিলনকে প্রতিরোধের ঘোষণা দেন।
এদিকে জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে ছাত্রদলের সাবেক নেতাকর্মীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রবাসে থাকা নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে তারেক রহমানকে সাজার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানান এহসানুল হক মিলন।
পুনর্মিলনী থেকে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউ ইয়র্ক সফরের সময় বিক্ষোভ করার ঘোষণা দেওয়া দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা আব্দুল লতিফ সম্রাট, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, গিয়াস আহমেদ, পারভেজ সাজ্জাদ, যুবদল নেতা এম এ বাতেন, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জনি এসময় উপস্থিত ছিলেন।