রোববার জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে বাংলদেশ মাইনোরিটি রাইটস মুভমেন্ট, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, গণজাগরণ মঞ্চ, সম্প্রীতি মঞ্চ, শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুক‚ল চন্দ্র সৎসঙ্গ, প্রজন্ম-৭১, পজেটিভ জেনারেশন সোসাইটি এ সমাবেশ করে।
সমাবেশে বাংলদেশ মাইনোরিটি রাইটস মুভমেন্টের সংগঠক শিতাংশু গুহ বলেন, “জঙ্গিবাদ দমনে জিরো টলারেন্স দেখানোর কথা বললেও সরকার বিশ্বাসযোগ্য কিছু করছে না।
“একটি করে খুন হচ্ছে, গণমাধ্যমে তা নিয়ে হৈ চৈ হচ্ছে, পুলিশ প্রশাসন ও সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে- কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, রেহাই দেওয়া হবে না; কিন্তু বাস্তবে খুন বন্ধ হচ্ছে না।”
বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ‘খুনিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, মানুষ কথায় নয়, কাজে আস্থা রাখতে চায়। তারা দেখতে চায়, জঙ্গি আর সন্ত্রাস দমনের অভিযান সফল হয়েছে। এসব বর্বর হত্যাকাণ্ড এখনই বন্ধ করা না গেলে, খুব তাড়াতাড়ি সংখ্যালঘুশুন্য হয়ে পড়বে বাংলাদেশ।”
‘সংখ্যালঘু বাঁচাও-মুক্তচিন্তার মানুষ বাঁচাও-দেশ বাঁচাও এবং জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ জামাত-শিবির রুখে দাও’ শীর্ষক এ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নব্যেন্দু বিকাশ দত্ত, সাবেক সম্পাদক সুশীল সাহা, জাস্টিস ফর হিন্দুজ’র সভাপতি ভিনসেন্ট ব্রæনো, ইন্ডিয়ান ইন্টেলেক্ট ফোরামের সভাপতি আরিশ সাহানী, গণজাগরণ মঞ্চের গোপাল সান্যাল, পার্বত্য চট্টগ্রাম ফাউন্ডেশনের কৃষ্ণ চাকমা, অনুক‚ল ঠাকুর সৎসঙ্গের কৃষ্ণেন্দু রুদ্র, ঝুলন চৌধুরী।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতা মিথুন আহমেদের পরিচালনায় সমাবেশের ঘোষণাপত্র পড়েন মাইনোরিটি রাইটস মুভমেন্ট’র শুভ রায়।
এতে বলা হয়, গত দেড় বছরে বাংলাদেশে জঙ্গি কায়দায় হামলার সংখ্যা অন্তত ৪৯টি। আক্রান্তদের মধ্যে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সমকামী অধিকারকর্মী, বিদেশি নাগরিক থেকে শুরু করে লেখক-প্রকাশক, বøগার, পীর, ফকির, সাধু এমনকি শিয়া মতাবলম্বী, লালনভক্ত ও পীরের অনুসারিরাও আছেন।
ঘোষণাপত্রে এ পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ অভিহিত করে ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ ফিরিয়ে আনতে’ সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশে নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশের কনসাল জেনারেলের মাধ্যমে চলতি সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি পাঠানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।