বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসের সান্তা ক্লারা কাউন্টি কোর্টে মামলাটির শুনানি হয়। নিহত দম্পতির দুই ছেলে হাসিব বিন গোলাম রাব্বি (২২) ও ওমর বিন গোলাম রাব্বিকে (১৭) এ সময় আদালতে হাজির করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে খুনের দুই ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে স্থানীয় পত্রিকা সান হোসে মারকিউরি নিউজ জানিয়েছে।
শুনানির সময় ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক’ ওমরকে আদালতের এজলাসের বাইরে এমনভাবে রাখা হয়েছিল, যেন বিচারক শ্যারন এ চাটম্যান ছাড়া কেউ তাকে দেখতে না পায়।
আদালতে দুই ভাই-ই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
গত ২৪ এপ্রিল সান হোসে নিজেদের বাড়ি থেকে গোলাম রাব্বি (৫৯) ও তার স্ত্রী শামীমা রাব্বির (৫৭) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাবা-মাকে খুনের অভিযোগে পরে তাদের দুই ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযোগের সমর্থনে বিস্তারিত প্রমাণ না পাওয়ায় দুই ভাইয়ের বিচার কাজ মাসখানেক পিছিয়ে যেতে পারে বলে হাসিবের আইনজীবী সান হোসে মারকিউরি নিউজকে জানিয়েছেন।
পেশায় প্রকৌশলী গোলাম রাব্বি (৫৯) এবং হিসাবরক্ষক শামীমা (৫৭) সান হোসের এভারগ্রিন ইসলামিক সেন্টারের সদস্য ছিলেন। বগুড়ার সন্তান রাব্বি ১৯৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। তিনি সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে খ্যাতি অর্জনকারী ‘এমদাদ অ্যান্ড সিতারা খান ফাউন্ডেশনের’ চেয়ারপারসন সিতারা খানের ছোট ভাই।
গোলাম রাব্বির সঙ্গে শামীমার বিয়ে হয় ১৯৮২ সালে। বিয়ের পর স্ত্রীকেও যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যান রাব্বি। সেখানেই তাদের দুই ছেলের জন্ম।