‘জয়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে’

প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে বিএনপি ‘অপপ্রচার’ চালাচ্ছে অভিযোগ করে অবিলম্বে তা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের এক নেতা।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 May 2016, 06:50 AM
Updated : 4 May 2016, 07:45 AM

সোমবার নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে মে দিবসের এক সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাসিব মামুন এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করার পরও সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে বিএনপির অপপ্রচার সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

“রাষ্ট্রীয়ভাবে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, জয় অবৈতনিক উপদেষ্টা হিসেবে দেশের সেবা করে যাচ্ছেন। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতপন্থি একদল ‘জ্ঞানপাপী’ লাগাতারভাবে তার নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটি বন্ধ করতে হবে।”

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের তথ্য বিকৃত করে খালেদা জিয়া বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত।”

একইসঙ্গে জয়কে অপহরণ ও হত্যার চক্রান্তে জড়িতদের লন্ডন ও নিউ ইয়র্ক থেকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের আদালতে হাজির করার দাবি জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সংরক্ষিত সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কিত গোপন তথ্য পেতে এফবিআই সদস্যকে ঘুষ দেওয়ায় এক প্রবাসী বিএনপি নেতার ছেলের কারাদণ্ড হয়েছে গত বছর। ওই বিচারের সূত্র ধরে ঢাকায় পুলিশের দায়ের করা একটি মামলায় যায়যায়দিন-এর সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সজীব ওয়াজেদ জয় (ফাইল ছবি)

গত রোববার মে দিবসের সমাবেশে এই প্রসঙ্গ টেনে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে কথা বলেন খালেদা জিয়া।

তিনি বলেন, “আদালত তার (সজীব ওয়াজেদ জয়) অ্যাকাউন্টে তিনশ মিলিয়ন ডলার, আড়াই হাজার কোটি টাকা নিয়ে সন্দেহ করেছে। এফবিআই এই টাকা তদন্ত করে পেয়েছে। এখানে শফিক রেহমানের দোষটা কোথায়? তাকে গ্রেপ্তার করে এখন নাটক চলছে।”

অবিলম্বে শফিক রেহমানসহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপি প্রধান বলেন, “আপনি তাদেরকে যদি মুক্তি না দেন, আপনি যদি সত্যি সত্যি দেশের মানুষের প্রধানমন্ত্রী হয়ে থাকেন, তাহলে এই যে তিনশ মিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ আড়াই হাজার কোটি টাকা আপনার ছেলে জয় কোথা থেকে পেল, তাকে ভেতরে নিয়ে জিজ্ঞাসাদ করা দরকার। ওই অর্থগুলো কী বৈধ? এটাকে চাপা দেওয়া যাবে না।”

নিউ ইয়র্কের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্টেট আ. লীগের সভাপতি নূরনবী কমান্ডার বলেন, “বঙ্গবন্ধু হত্যার ধারাবাহিকতায় একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসররা জয়ের ‍বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।”

এ ধরনের চক্রান্ত মোকাবেলায় দলের পরীক্ষিত নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “বাংলাদেশে শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে যা কাজ হয়েছে, পুরোটাই করেছে আওয়ামী লীগ। এখনও কাজ করে যাচ্ছে। শ্রমিকের জন্য কর্মস্থলের পরিবেশ উন্নয়নসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

“সরকারের এসব কার্যক্রম ঠিকমতো প্রচার না হওয়ায় আন্তর্জাতিক মহলে নানান বিভ্রান্তি রয়েছে।”

যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের এ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, নির্বাহী সদস্য আজিজুর রহমান সাবু, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের আহ্বায়ক তারিকুল হায়দার চৌধুরী, সদস্য সচিব বাহার খন্দকার সবুজ, বঙ্গমাতা পরিষদের সভাপতি সরাফ সরকার, আ. লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম কলিন্স, নূরল আবসার সেন্টু, সায়কুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, আতিকুর রহমান সুজন বক্তব্য দেন।