ক্যাপিটল হিলে জায়গা পাচ্ছে বাংলাদেশি সামিয়ার চিত্রকর্ম

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন কংগ্রেস ভবন ‘ক্যাপিটল হিল’র সবচেয়ে বেশি মানুষ চলাচল করে ক্যানেল টানেল দিয়ে। আর এই টানেলেই আসছে জুন থেকে বছরব্যাপী শোভা পাবে নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশি ছাত্রী সামিয়া ফাগুনের একটি চিত্রকর্ম।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 April 2016, 04:48 PM
Updated : 30 April 2016, 04:48 PM

জল রংয়ে আঁকা এ ছবিটির নাম ‘মোমেন্টস অব লাইফ’ বা জীবনের প্রতিচ্ছবি।

ক্যাপিটল হিলে এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি ছাত্রীর আঁকা ছবি স্থান পাচ্ছে। আর সামিয়া এ দুর্লভ সুযোগ করে নিয়েছেন এক প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে।

কুইন্সের এলম্হার্স্টে থাকা নিউ টাউন হাই স্কুলের দ্বাদশ গ্রেডের ছাত্রী সামিয়া এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ওই এলাকার আরও ১৩ হাই স্কুলের ৪৬ জন ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে। প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন ডেমক্রেটিক পার্টির স্থানীয় কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং।

গত ৩৫ বছর ধরে সব কংগ্রেসম্যানই একই সময়ে নিজ নিজ এলাকায় হাই স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ‘অ্যান আর্টিস্টিক ডিসকভারি’ শীর্ষক এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে।

আর এই প্রতিযোগিতায় পুরো যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিজয়ীদের অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে আসছে জুনে।

সে সময় কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং এর পক্ষ থেকে সামিয়াকে বিশেষ সম্মাননা জানানো হবে নির্বাচিত ওই ছবিটির জন্যে।

কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং-এর সাথে অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী সামিয়া ফাগুন। ছবি-বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

গ্রেস মেং এক বিবৃতিতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি তার (সামিয়া) ব্যতিক্রমধর্মী দৃষ্টিভঙ্গিতে অভিভূত। অবিস্মরণীয় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন সামিয়া। এ জন্যে আমি তাকে অভিবাদন জানাচ্ছি।”

কংগ্রেসনাল এ প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ায় জর্জিয়ার ‘শাবান্নাহ কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড মিউজিয়াম’-এ স্কলারশিপ পাবেন সামিয়া।

বাংলাদেশি এই ছাত্রী শিল্পকলা বিষয়ে সামনের সেপ্টেম্বরে শুরু নতুন শিক্ষাবর্ষে পড়তে যাবেন সিটি কলেজ অব নিউ ইয়র্কে।

১৯৮২ সালে শুরু এ প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত ছয় লাখ ৫০ হাজার ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেয়। বিজয়ীদের মধ্যে এই প্রথম একজন বাংলাদেশির নাম অন্তর্ভুক্ত হলো।

বাংলাদেশে সামিয়াদের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়।  যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপত্তা পরিদর্শক হিসেবে কাজ করেন তার বাবা মঞ্জুরুল হক। মা ও  এক ভাইসহ সামিয়াদের পরিবার ২০১২ সালে ইমিগ্র্যান্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে এসে নিউ ইয়র্কে বসবাস করছেন।

সামিয়া এর আগে বিভিন্ন বিষয়ে আরও কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন।

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা সরাসরি আমাদের জানান। নাম, ঠিকানা ও সংশ্লিষ্ট ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায়  probash@bdnews24.com