মাদকের বিস্তার রোধে আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব জাতিসংঘে

বিশ্বজুড়ে মাদকের বিস্তার রোধে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2016, 06:32 AM
Updated : 10 Feb 2016, 06:32 AM

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ ও আইউপিইউর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মাদক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক এক উচ্চপর্যায়ের শুনানিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এই শুনানিতে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। প্রতিনিধি দলে ছিলেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন।

শুনানির মূল বক্তব্যে সাবের হোসেন বলেন, “২০১৩ সালে বিশ্বে দুই লাখ মাদকাসক্তের মৃত্যু হয়েছে, যা সবার জন্যই উদ্বেগের। এ অবস্থায় জনস্বাস্থ্য রক্ষায় বিশ্বব্যাপী মাদকবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই।

“শুধু আইন করে লাভ হবে না। এজন্য দরকার জনপ্রতিরোধ। মাদক শরীরের জন্যে কতটা ভয়ঙ্কর তা অনুধাবনের সুযোগ তৈরি করতে এ ধরনের আলোচনার গুরুত্ব অপরিসীম। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজে উৎসাহিত করতে হবে। সীমান্তে যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন, তাদেরকেও কঠোর হতে হবে।”

বাংলাদেশে মাদকের বিস্তার চিত্র তুলে ধরে আইপিইউ প্রেসিডেন্ট বলেন, “বাংলাদেশে মাদকের উৎপাদন না হলেও পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে আসা মাদকের অবাধ বিচরণে ধ্বংস হচ্ছে দেশের যুব সমাজ।”

মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা এবং তা নিয়ন্ত্রণে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

শুনানিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মাদকের অবাধ বিচরণ রোধ ও করণীয় নির্ধারণে কিছু প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বক্তব্য রাখেন সাবের হোসেন চৌধুরী

আলোচনার ফাঁকে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সাবের হোসেন চৌধুরী।

এসময় তিনি বাংলাদেশকে মাদক ব্যবসার ‘ট্রানজিট পয়েন্ট’ হিসেবে উল্লেখ করে জানান, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের শহরাঞ্চলে নারীদের ধূমপান ও মাদকাসক্তির হার বিশ্বের অনেক দেশকে ছাড়িয়ে গেছে।

শুনানিতে সব দেশের প্রতিনিধি মাদক সমস্যার সমাধান, বিস্তার রোধ ও তা নিয়ন্ত্রণে সদস্য দেশগুলোর যথাযথ উদ্যোগের বিষয়ে একমত হন।

আর এজন্য সংলাপ ও সমঝোতার বিকল্প নেই বলে মত দেন তারা।

এ বিষয়ে জাতিসংঘ ও আইপিইউর উদ্যোগে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সাবের হোসেন চৌধুরী।