দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মস্কোর বাংলাদেশ দূতাবাস রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিচালিত সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা, রাশিয়ার সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা যোগ দেন।
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি দিয়ে মিলনায়তন সাজানো হয়। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর সঙ্গে ছিল দেশাত্মবোধক গানের পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এস এম সাইফুল হক তার বক্তব্যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “তখন সোভিয়েত ইউনিয়ন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় আমাদের বিজয় ত্বরান্বিত হয়। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের পুনর্বাসন কাজেও দেশটির অবদান ছিল অসামান্য।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান সরকার মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার ও বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।”
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে আর্থসামাজিক সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে এয়ার কমোডর সাইফ সিদ্দিকী তার বক্তব্যে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “জাতিসংঘ শান্তিমিশনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি সদস্য অংশগ্রহণ করছেন। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘ শান্তিমিশনে সুনাম নিয়ে মানবিক দায়িত্ব পালন করছেন।”
শুভেচ্ছা বক্তব্য শেষে রাষ্ট্রদূত ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন।
স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। নৃত্যশিল্পী হৃদি শেখ পরিচালিত শাপলা নৃত্য দল এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আনিতা ধর অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন।
প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা সরাসরি আমাদের জানান। নাম, ঠিকানা ও সংশ্লিষ্ট ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায় probash@bdnews24.com