এই দেশের বেশিরভাগ মানুষই শহরের বাসিন্দা। রাজধানী দোহা ও এর আসেপাশেই বসবাস করেন তারা। মাথাপিছু আয়ে বর্তমানে পৃথিবীর সবচাইতে ধনী দেশ কাতারে মৎস্যজীবী হিসাবে কাজ করছেন অনেক বাংলাদেশি।
মধ্যপ্রাচ্যের পারস্য উপসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রে মাছ ধরার পেশায় নিয়োজিতদের একটি বড় অংশই বাংলাদেশি। সংখ্যায় আনুমানিক ১০ হাজার! এদের মধ্যে আবার চট্টগ্রাম আর নোয়াখালী জেলা থেকে আসা প্রবাসীরা বাকিদের থেকে এগিয়ে আছেন।
কিছু ভারতীয় জেলেও এখানে কাজ করেন, তবে বাংলাদেশিদের ভিঁড়ে তাদের খুঁজে পাওয়াই যেন কঠিন!
অন্তত ৬০ প্রজাতির মাছ ধরা হয় পারস্য উপসাগরের নীল জলে। এদের মধ্যে স্থানীয়ভাবে পরিচিত ছাপি, সেরি, হামুর, এনাম, মোতোয়া, লাইলা, রুবিব, জেইস, বেদা, গুরগুপান ইত্যাদি প্রজাতির মাছ বেশি ধরা হয়। তবে এদের মধ্যে দামের কারণে কদর বেশি হামু্র, ছাপি ও রুবিব প্রজাতির। এছাড়া কাঁকড়ার বেশ চাহিদা আছে স্থানীয় কাতারি ও প্রবাসীদের কাছে।
দোহার বাঙালি মালিকানাধীন রেস্তোরাঁগুলোতে পারস্য উপসাগরের এ মাছের স্বাদ নিয়ে থাকেন অনেক প্রবাসী।
লাইলা নামে এক প্রজাতির মাছ সহজেই ধরা যায় এই সাগরে কিন্তু দাম কম হওয়ায় এই মাছ জেলেরা কাঁকড়া ধরার টোপ হিসাবেই বেশি ব্যবহার করেন। কারণ এদেশের বাজারে কাঁকড়ার বেজায় দাম!
বাংলাদেশের সন্দ্বীপ থেকে এসে এখানে মৎসজীবী হিসাবে কর্মরত কীর্তিলাল দাস বলেন, “ শীত মৌসুমে মাছ চলে যায় গভীর সাগরে। তখন সমুদ্রে মাঝে মাঝে প্রবল হাওয়া থাকায় বন্ধ থাকে মাছ ধরা। অতিরিক্ত হাওয়ায় বোট উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটে, এছাড়া আগে রাত দিন মাছ ধরা গেলেও এখন অনেক নিয়ম শুরু করে এসব নিয়ন্ত্রণে এনেছে কাতার সরকার।”
বাংলাদেশে যেমন বছরে প্রজননেন মৌসুমে নির্দিষ্ট সময় ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ থাকে তেমনি কাতারেও কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুমে জানুয়ারী ১৫ তারিখ থেকে মার্চের ১৫ তারিখ পর্যন্ত এই প্রজাতি ধরতে পারেন না মাৎসজীবীরা।
নিষিদ্ধ সময়ে কাঁকড়া ধরলে জেলেদের মাছ ধরার লাইসেন্স বাতিল করে দেয় কাতার সরকার।
প্রবাস জীবনের গল্প ও অভিজ্ঞতা এখন থেকে আমাদের সরাসরি জানাতে পারেন। পুরো নাম ও সংশ্লিষ্ট ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায় probash@bdnews24.com