পর্যটন নগরী হিসেবে কোরিয়ায় ইয়োসু বেশ জনপ্রিয়। ওদোংদো দ্বীপ, দোলসান ব্রিজ, নোকসানগত লাইটহাউজ, ড্রাগন গুহা, জিন্নামগোয়ান ইমজিন সামরিক জাদুঘর, হিয়ংগুকসা বৌদ্ধ মন্দির, মেরিটাইম অ্যাকুয়ারিয়াম ইত্যাদি হচ্ছে ইয়োসুর প্রধান আকর্ষণ।
আমি চন্নাম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী যার অবস্থান গোয়াংজু শহরে। এই শহর থেকে ইয়োসুতে সরাসরি বাসে যেতে দুই ঘন্টার একটু বেশি সময় লাগে। আমি ছাড়াও বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ এবং সম্রাট আহমেদ আর শ্রীলংকান বন্ধু ভিন্দিয়া জয়সিংহ মূলত এই উৎসবে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করি।
আমাদেরকে প্রথমেই নিয়ে যাওয়া হয় ইয়োসু এক্সপো স্টেশনে। ছোট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচয়পর্ব সম্পন্ন হয়। এরপর রাতে সাগর পাড় ঘেঁষে পায়ে হাঁটা দূরত্বে হোটেল।
পরদিন সকালে দুই বাস ভর্তি শিক্ষার্থীরা মিলে রওনা হই জিন্নামগোয়ান ইমজিন সামরিক জাদুঘরের পথে। এডমিরাল ই সানশিনের হেডকোয়ার্টার জিন্নামগোয়ান বিল্ডিং। চসুন রাজবংশীয় আমলে জাপানের নৌবাহিনীর সঙ্গে কোরিয়ার নৌবাহিনীর যুদ্ধের কাহিনি বর্ণিত রয়েছে এই জাদুঘরের দেয়ালে দেয়ালে।
পরের গন্তব্য হিয়ংগুকসা বৌদ্ধ মন্দির। প্রাচীন মন্দির সংলগ্ন এলাকাটি চমৎকার আর খুবই শান্তশিষ্ট। এই আবহ যে কারও মনেই এক ধরনের প্রশান্তির ভবনা এনে দিতে পারে।
তৃতীয় দিন কেটে গেল সাগরের নীল পানিতে জলকেলিতে। এছাড়া প্রতি সন্ধ্যায়ই ছিল এক্সপো স্টেশনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কোরিয়ান শিক্ষার্থীদের পরিবেশিত কে-পপ সংগীতের তালে মেতে উঠেছিল প্রায় সবাই। এছাড়া ছিল রাশিয়ানদের নিজস্ব পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানের শেষে তিনদিনের ঘোরাঘুরির তোলা সব ছবি নিয়ে নির্মিত একটি শর্টফিল্ম প্রদর্শিত হয়। সব মিলিয়ে ইয়োসুতে এই তিনদিন যেন ছিল খানিকটা স্বপ্নের মতো।
ইয়োসুর মত চমৎকার জায়গা ঘুরতে আসলে তিনদিন মোটেও যথেষ্ট নয়। এতো পরিকল্পিতভাবে সাজানো জায়গাটিতে অনেক পর্যটকই বারবার ফিরে আসতে চায়। এই চিন্তা আছে আমারও!
প্রবাস জীবনের গল্প ও অভিজ্ঞতা এখন থেকে আমাদের সরাসরি জানাতে পারেন। পুরো নাম ও সংশ্লিষ্ট ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায় probash@bdnews24.com
আরও পড়ুন