‘বিএনপি-জায়ামাত প্রতিরোধ’ কর্মসূচি নিউ ইয়র্ক আ. লীগের

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউ ইয়র্কে অবস্থানকালে বিএনপি-জায়ামাত জোটের কর্মসূচি রুখে দিতে ‘যেখানে বিএনপি-জায়ামাত-সেখানেই প্রতিরোধ’র ঘোষণা দিয়েছে নিউ ইয়র্ক আওয়ামী লীগ।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 August 2015, 07:02 PM
Updated : 26 August 2015, 07:28 PM

একুশে অগাস্ট গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের স্মরণে মঙ্গলবার রাতে নিউ ইয়র্কের পালকি পার্টি সেন্টারে আয়োজিত সমাবেশে এ ঘোষণা দেন তারা।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক পৌঁছার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো।

নিউ ইয়র্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরনবী কমান্ডারের সভাপতিত্বে এই সমাবেশ হয়।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানের নির্দেশে ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল অভিযোগ করেন বক্তারা।

এই হামলার দ্রুত বিচারের দাবি জানান তারা।

অতিথির বক্তৃতায় হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ আবু জাহিদ বলেন, “একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্ট জাতির জনককে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের নাম-নিশানা মুছে ফেলতে চেয়েছিল। সে হত্যাযজ্ঞে নেতৃত্ব দেয় জিয়াউর রহমান।

“২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট পাক হায়েনাদের ‘প্রেতাত্মা’ বিএনপি-জামায়াত জোট শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল। সে ষড়যন্ত্রের নেতৃত্ব দেন বেগম খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক রহমান।”

‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট এবং ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট একইসূত্রে গাঁথা’ মন্তব্য করে হবিগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ আব্দুল মজিদ খান বলেন, “একই চক্রের দুটি প্রক্রিয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত করার। এই চক্রের শিরোমণি ছিলেন জিয়াউর রহমান এবং পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক রহমান।”

নিউ ইয়র্ক আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী বলেন, “জামায়াত-শিবিরের দোসর বিএনপির চেলাচামুন্ডারা নিউ ইয়র্কেও দেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।”

জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউ ইয়র্ক সফরের সময় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের যে কোন ‘অপতৎপরতা’ শক্ত হাতে প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সক্রিয় থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

জাকারিয়া বলেন, “মোট কথা ‘যেখানে বিএনপি-জামায়াত-সেখানেই প্রতিরোধ’ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে আওয়ামী পরিবার থেকে।”

সমাবেশে কম্যুনিটি লিডার ড. প্রদীপ কর, শরাফ সরকার, মহিউদ্দিন দেওয়ান, নূরে আলম বাবু, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সভাপতি মো. কাদের মিয়া, ব্রুকলিন বরো আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল জলিল এবং আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ শরীফ রাসেল বক্তব্য রাখেন।

প্রবাস জীবনের গল্প ও অভিজ্ঞতা এখন থেকে আমাদের সরাসরি জানাতে পারেন। পুরো নাম ও সংশ্লিষ্ট ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায়  probash@bdnews24.com