নাশকতার সাত মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শামসুজ্জামান দুদুও পেয়েছেন অন্তবর্তীকালীন জামিন।
মঙ্গলবার বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাই কোর্ট বেঞ্চ পৃথক জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেয়।
এর ফলে দুদুর কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে তার আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, সঙ্গে ছিলেন সগীর হোসেন লিওন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল হাই।
সগীর হোসেন জানান, সাত মামলায় দুদুর এবং আট মামলায় রিজভীর ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।
যাত্রাবাড়ী থানায় দুটি, খিলগাঁও, মিরপুর ও মোহাম্মদপুর থানায় একটি করে তিনটি এবং পল্টন থানার তিনটি মামলায় রিজভী জামিন পান।
পল্টন থানার ছয়টি ও মিরপুরে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের এক মামলায় দুদুর জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল হাই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করার জন্য ইতোমধ্যে অ্যার্টনি জেনারেল কার্যালয়ে নোট দিয়েছি।”
রিজভী ইতোপূর্বে পাঁচ মামলায় হাই কোর্ট থেকে জামিন পান। এ জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন ৯ জুলাই আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য রয়েছে।
বিএনপির লাগাতার অবরোধের মধ্যে গত ৩১ জানুয়ারি ভোররাতে রিজভীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার আগে তিনি অজ্ঞাত স্থান থেকে বিবৃতি পাঠিয়ে হরতাল-অবরোধের বার্তা দিয়ে আসছিলেন। ১২ জানুয়ারি শামসুজ্জামান দুদু গ্রেপ্তার হন।