বক্তব্য নিয়ে ‘হৈ চৈ’ দেখে অবাক ইনু

খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলার পর হৈ চৈ দেখে অবাক হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 July 2015, 02:02 PM
Updated : 7 July 2015, 02:02 PM

ওই বক্তব্যের পর বিএনপির তীব্র প্রতিক্রিয়া এবং জোট শরিক আওয়ামী লীগ নেতাদের সতর্ক বার্তার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার তথ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের কথার ব্যাখ্যা তুলে ধরেন তিনি।

জাসদ সভাপতি ইনু সম্প্রতি জাতীয় সংসদে বলেন, ২০১৯ সালে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না।

তার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, মন্ত্রীর কথার মধ্য দিয়ে আদালতের উপর প্রভাব খাটানোর বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে।

সরকারকে বিব্রত করে এমন বক্তব্য মন্ত্রীদের না দেওয়ার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

নিজের আলোচিত ওই বক্তব্যের বিষয়ে ইনু বলেন, তার রাজনৈতিক জোট যুদ্ধাপরাধী ও আগুন-সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন দেখতে চায়।

“এই বক্তব্যর মধ্য দিয়ে আদালতের উপর কোনো চাপ প্রয়োগও করা হয় নাই। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে, আমরা আশা করছি, বিচার-আচার হবে, যেমন সাজা হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের।”

নাশকতার মামলাগুলোতে খালেদার সাজা হওয়ার যথেষ্ট উপাদান রয়েছে দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “তিনি যদি আদালতের বারান্দা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন, নির্বাচনে থাকবেন। আর না আসতে পারলে উনি নির্বাচনের বাইরে পড়ে যাবেন।

“সুতরাং এটা নিয়ে যে হৈ চৈ হচ্ছে, আমি একটু অবাকই হয়েছি।”

আগামী নির্বাচনের আগেই কি খালেদা জিয়ার সাজা হচ্ছে- সাংবাদিকদের প্রশ্নে ইনু এবার সতর্ক উত্তর আসে তার কাছ থেকে- “এ বিষয়টি আদালতের।”

খালেদা জিয়ার বিচার এগিয়ে নেওয়া এবং তার ছেলে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার সচেষ্ট বলে জানান তিনি।

‘রোজায় খালেদা মিথ্যাচারে’

বিভিন্ন ইফতার অনুষ্ঠানে বক্তব্যে খালেদা জিয়া ‘মিথ্যাচার’ করছেন বলে দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী ইনু।

চলতি বছরের শুরুতে ২০ জোটের আন্দোলনে নাশকতার ঘটনাগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, “বেগম জিয়ার এ বক্তব্য কত বড় মিথ্যাচার, তার সাক্ষী আপনারা, সমগ্র জনগণ।

“এটা রোজার মাস, রোজার মাসে ইফতার সামনে রেখে যেভাবে খালেদা জিয়া একের পর এক মিথ্যাচার করে চলেছেন, তাতে ফেরেস্তারাও ‍উদ্বিগ্ন না হয়ে পারছেন না।”

দশম সংসদ নির্বাচনের দেড় বছরের মধ্যে আগাম নির্বাচনের আলোচনা খালেদা জিয়াকে ‘বাঁচাতেই’ উঠছে বলে মন্তব্য করেন জাসদ সভাপতি।  

“এটি পত্র-পত্রিকার রসালো আলাপ আর কী! বেলুন উড়াচ্ছে। গণমাধ্যম ও পত্র-পত্রিকা তো কল্পনার যন্ত্রণা, মাঝে মাঝে করে উত্তেজনার বেলুন উড়ায়, এটি নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই।”

রাজনৈতিক দল হিসেবে জাসদের কি আগাম নির্বাচনের প্রস্তুতি রয়েছে কি না- এই প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন ইনু।

“নির্বাচন গতানুগতিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া, অস্বাভাবিক কারণ তৈরী হলে নির্বাচন আগে পিছু হয়, কিন্তু আমি সেরকম কোন কারণ দেখছি না।”

“আগুন-সন্ত্রাসকে আড়াল করে আগুন সন্ত্রাসের নেত্রী খালেদা জিয়াকে রাজনীতির ময়দানে বাঁচানোর জন্য এই ধরনের গল্প ফাঁদার চেষ্টা হচ্ছে।কিন্তু যত চেষ্টাই হোক, খালেদা জিয়া রেহাই পাবে না,” বলেন ইনু।