সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ মঙ্গলবার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেন।
মায়া ছাড়াও প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জাতীয় সংসদের স্পিকারকে এতে বিবাদী করেছেন তিনি।
ইউনুছ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আবেদনটি বুধবার শুনানির জন্য বিচারপতি নাঈমা হায়দার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে উপস্থাপন করা হতে পারে।”
দুর্নীতির মামলায় খালাসের রায় বাতিলের পরও মায়ার মন্ত্রী ও সাংসদ পদে থাকার বৈধতা প্রশ্নে এর আগে পাঠানো উকিল নোটিসের জবাব না পেয়ে এই রিট আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আট বছর আগের একটি দুর্নীতি মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা মায়াকে হাই কোর্টের দেওয়া খালাসের রায় গত ১৪ জুন বাতিল করে নতুন করে আপিল শুনানির আদেশ দেয় আপিল বিভাগ।
২০০৭ সালের ১৩ জুন জরুরি অবস্থার সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের করা ওই মামলায় সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে ২৯ লাখ টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয় মায়ার বিরুদ্ধে।
পরের বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত দুই ধারায় মায়াকে মোট ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং তাকে পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
মায়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে গেলে তার আপিলের শুনানি করে ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর হাই কোর্ট বেঞ্চ তাকে খালাস দেয়, যা বাতিল হয়ে যায় আপিল বিভাগের আদেশে।
ওই আদেশের পর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মায়ার মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পদে থাকা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। আপিল বিভাগের আদেশের পর বিএনপিও মায়ার পদত্যাগের দাবি তুলেছে।
এরপরও মায়া সাংসদ ও মন্ত্রী পদ না ছাড়ায় গত ৩০ জুন তাকে উকিল নোটিস পাঠান ইউনুছ আলী আকন্দ।
নোটিসে বলা হয়, “সংবিধানের ৬৬ এর ২ (ঘ) দফা অনুসারে দণ্ডিত ব্যক্তি সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী পদে থাকতে পারেন না।”
সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদে সংসদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতার বিষয়ে বলা হয়েছে, যদি কেউ নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছরকাল অতিবাহিত না হয়ে থাকে, তবে তিনি সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না।