এক সপ্তাহ আগের ঘটনাটির প্রসঙ্গ তুলে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান সোমবার সংসদে বলেছেন, ভুল করলে ক্ষমা চাইলে তিনি চাইবেন। এর এখতিয়ার আর কারও নেই।
নাটকীয়ভাবে দশম সংসদ নির্বাচনে এসে রওশন বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর দলে কর্তৃত্ব নিয়ে দুজনের মধ্যে রেশারেশির খবর চাউর হলেও দুজনই তা অস্বীকার করে আসছেন।
এর মধ্যে এক সপ্তাহ আগে সংসদ অধিবেশনে বক্তব্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ নারী সংসদ সদস্যদের ‘শো পিস’ বলার পর রওশন দাঁড়িয়ে সেই বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চান। স্পিকারও এরশাদের বক্তব্য কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেন।
ওই প্রসঙ্গ তুলে সোমবার সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় দাঁড়িয়ে এরশাদ বলেন, “এখানে সবাই সংসদ সদস্য, সবাই সমমর্যাদার।
“আমার ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়ার এখতিয়ার শুধু আমার, অন্য কারও নেই।”
দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশনের ক্ষমা চাওয়া ‘এখতিয়ার বহির্ভূত’ বলেও মন্তব্য করেন এরশাদ।
“আমি প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর আপনি আমার বক্তব্য বাদ দিয়েছেন। আমার বক্তব্য নিয়ে অন্য একজন সদস্যের ক্ষমা চাওয়ার বক্তব্যও বাদ দেওয়ার অনুরোধ করছি।”
তবে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের এই অনুরোধ নিয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী কোনো কথা বলেননি।
এসময় বিরোধীদলীয় নেতা রওশন অধিবেশন কক্ষে ছিলেন না।
আগের বক্তব্যের ব্যাখ্যায় এরশাদ বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টি তুলে ধরতে গিয়ে সেদিন কথা বলেছিলেন তিনি। সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্যদের বঞ্চিত থাকার কথা বলেছিলেন তিনি।
“সংসদে বৈষম্য থাকবে, তা হতে পারে না। সংসদেও সবাই সমান বরাদ্দ পায় না। আমরা এখান থেকেই সমান সুবিধা দেওয়ার যাত্রা শুরু করি। সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যদেরকেও সমান বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ করছি।”
এরশাদের এই বক্তব্যের সময় জাতীয় পার্টির কয়েকজন সংসদ সদস্য টেবিল চাপড়ে তাকে সমর্থন জানান।
তবে অধিবেশন কক্ষে এসময় হাসির রোল পড়ে। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর মুখেও মুচকি হাসি দেখা যায়।