চাষাঢ়া বোমা হামলা: আরেক মামলায় অভিযোগ গঠন

চৌদ্দ বছর আগে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণের আরেকটি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2015, 11:28 AM
Updated : 6 July 2015, 11:28 AM

সোমবার নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মিয়াজী শহীদুল আলম চৌধুরীর আদালতে এ অভিযোগ গঠন করা হয়।

আদালত বিস্ফোরক আইনের ওই মামলায় ছয় জনের নামে দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে। ওই সময় তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউর কেএম ফজলুর রহমান জানান, ২০০১ সালের ১৬ জুন এই বোমা হামলায় ২০ জন নিহত হন। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়।

এক বছর আগে ওই ছয় আসামির বিরুদ্ধে একই ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।

আগামী ২ অগাস্ট হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা ওই দুই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। 

অ্যাডভোকেট কে এম ফজলুর রহমান আরও জানান, বিস্ফোরক আইনে করা ওই মামলায় আদালতে ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে।

ওই সময় আদালতে আসামিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুফতি হান্নান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল ও সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু।

এদের মধ্যে শওকত হাশেম শকু উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছেন।

২০০১ সালের ১৬ জুন চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণে ২০ জন নিহত হন, আহত হন দলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।

এর পরদিন শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

ওই বছরই ক্ষমতায় আসে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন।

এদিকে বোমা হামলায় নিহত ফুটপাতের পিঠা বিক্রেতা হালিমা বেগমের ছেলে কালাম বাদী হয়ে শামীম ওসমান ও তার দুই ভাইসহ অনেককে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এরপর বিগত সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে উচ্চ আদালত মামলাটি খারিজ করে এবং খোকন সাহার মামলা পুনঃ তদন্তের নির্দেশ দেয়।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিআইডি ২০১৩ সালের ২ মে ছয় জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

এ দুটি মামলায় বাদীসহ ৭ জনকে সাক্ষী করা হলেও চলতি বছরের গত ২১ জানুয়ারি বাদী খোকন সাহার আবেদনের প্রেক্ষিতে সম্পূরক অভিযোগপত্রে আগের অভিযুক্ত আসামি অভিন্ন রেখে শুধু সাক্ষীর সংখ্যা বাড়ানো হয়।

সম্পূরক অভিযোগপত্রে ৮ জন তদন্তকারী কর্মকর্তার পাশাপাশি আরও ৩৭ জনকে সাক্ষী করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন জঙ্গি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু, ভারতের কারাগারে আটক জঙ্গি নেতা দুই ভাই আনিসুল মোরসালিন ও মাহবুব মোত্তাকিন এবং চাষাঢ়া এলাকার বাসিন্দা ওবায়দুল হক।

এর মধ্যে তিন আসামি মোরসালীন ও মোত্তাকীন ভারতের জেল আটক আছেন। পলাতক রয়েছেন ওবায়দুল হক।