ওই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এ মোমেনের শাস্তি চেয়েছে দলটি। দূতাবাসের দায়িত্বশীল হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর বিষয়েও তদন্ত চেয়েছে তারা। নিন্দা জানিয়েছে গাফফার চৌধুরীকে।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ মিশনে গাফফার চৌধুরীর বক্তৃতা অনুষ্ঠানের দুদিন পর রোববার নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন বিএনপি নেতা।
গাফফার চৌধুরীর বিষয়ে রিপন বলেন, “তিনি আল্লাহর সাথে অপরাধ করেছেন, এ বিষয়ে আল্লাহ বিচার করবেন। আমরা কিছু বলতে চাই না। আমরা তার হেদায়েত কামনা করি।”
‘বাংলাদেশের বর্তমান-অতীত-ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক ওই বক্তৃতা অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে গাফফার চৌধুরীর বক্তব্যেরও নিন্দা জানান বিএনপি নেতা।
রিপন দাবি করেন, জিয়াউর রহমান যুক্তরাজ্যে হাইকমিশনার না করায় তার প্রতি বিষোদগার করছেন গাফফার চৌধুরী।
“আমাকে লন্ডনের প্রয়াত এক হাইকমিশনার, যিনি আমার দুঃসম্পর্কের আত্মীয় ছিলেন, আমাকে বলেছিলেন- ১৯৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর খোন্দকার মুশতাকের সঙ্গে আবদুল গাফফার চৌধুরী যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার হতে খুব লবিং চালিয়েছিলেন। ৭ নভেম্বরের পরে জিয়াউর রহমান যখন শাসন ক্ষমতার দৃশ্যপটে আসেন, তখন তিনি আবদুল গাফফার চৌধুরীর হাইকমিশনার হওয়ার বাসনাটি এন্টারটেইন করেননি। এজন্য শহীদ জিয়ার প্রতি আবদুল গাফফার চৌধুরীর চরম ক্ষোভ।”
যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে গাফফার চৌধুরীর বক্তব্যও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন রিপন।