গাফফার চৌধুরীর নিন্দায় বিএনপি

জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে এক অনুষ্ঠানে একুশের গানের রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরীর এক বক্তব্যে আল্লাহকে কটাক্ষ করা হয়েছে দাবি করে এজন্য দূতাবাস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2015, 12:48 PM
Updated : 5 July 2015, 12:48 PM

ওই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এ মোমেনের শাস্তি চেয়েছে দলটি। দূতাবাসের দায়িত্বশীল হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর বিষয়েও তদন্ত চেয়েছে তারা। নিন্দা জানিয়েছে গাফফার চৌধুরীকে।

আসাদুজ্জামান রিপন (ফাইল ছবি)

“এ কে এ মোমেনের কী দায় পড়লো, খোদাদ্রোহী কথা-বার্তা বলানোর জন্য আবদুল গাফফার চৌধুরীকে ডাকতে হবে। এ রকম বক্তব্য দেওয়ার বিষয়ে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন নিয়েছেন কি না, এ বিষয়ে আমরা তদন্ত চাই,” বলেছেন বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন।

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ মিশনে গাফফার চৌধুরীর বক্তৃতা অনুষ্ঠানের দুদিন পর রোববার নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন বিএনপি নেতা।

গাফফার চৌধুরীর বিষয়ে রিপন বলেন, “তিনি আল্লাহর সাথে অপরাধ করেছেন, এ বিষয়ে আল্লাহ বিচার করবেন। আমরা কিছু বলতে চাই না। আমরা তার হেদায়েত কামনা করি।”

‘বাংলাদেশের বর্তমান-অতীত-ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক ওই বক্তৃতা অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে গাফফার চৌধুরীর বক্তব্যেরও নিন্দা জানান বিএনপি নেতা।

রিপন দাবি করেন, জিয়াউর রহমান যুক্তরাজ্যে হাইকমিশনার না করায় তার প্রতি বিষোদগার করছেন গাফফার চৌধুরী।

“আমাকে লন্ডনের প্রয়াত এক হাইকমিশনার, যিনি আমার দুঃসম্পর্কের আত্মীয় ছিলেন, আমাকে বলেছিলেন- ১৯৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর খোন্দকার মুশতাকের সঙ্গে আবদুল গাফফার চৌধুরী যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার হতে খুব লবিং চালিয়েছিলেন। ৭ নভেম্বরের পরে জিয়াউর রহমান যখন শাসন ক্ষমতার দৃশ্যপটে আসেন, তখন তিনি আবদুল গাফফার চৌধুরীর হাইকমিশনার হওয়ার বাসনাটি এন্টারটেইন করেননি। এজন্য শহীদ জিয়ার প্রতি আবদুল গাফফার চৌধুরীর চরম ক্ষোভ।”

যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে গাফফার চৌধুরীর বক্তব্যও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন রিপন।