বামধারার ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি খন্দকার ফারুকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর পল্টনের মুক্তিভবনে ছাত্র ইউনিয়ন আয়োজিত স্মরণ সভায় মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “খন্দকার ফারুক প্রকৌশলী হয়েও নিজের বিলাসী জীবনের চিন্তা না করে এদেশের গরিব-মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন।
“ক্ষেতমজুরদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের জন্য মাসের পর মাস গ্রামে গ্রামে ঘুরে মজুরদের সংগঠিত করেন তিনি। সারা দেশের প্রত্যেক অঞ্চলে পড়ে থেকে তিনি ক্ষেতমজুর সমিতিকে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করেন।”
এরপর ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি হন খন্দকার ফারুক। ১৯৮৪ সালে ছাত্র ইউনিয়ন থেকে বিদায় নিয়ে তিনি কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। তিনি কাজ করতেন ক্ষেতমজুর সমিতিতে।
শেষ জীবনে রাজনীতিতে প্রায় নিষ্ক্রিয় প্রকৌশলী খন্দকার ফারুক গত বছর ২৯ জুন মারা যান। মৃত্যুর আগে নর ওয়েস্টার ফ্যাশন লিমিটেডের কর্ণধার ছিলেন তিনি।
স্মরণ সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, “খন্দকার ফারুক বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় তার নাম না থাকায় তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করা হয়নি।”
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হাসান তারেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক এম এম আকাশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুশতাক হোসেন, ইউকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মাহতাব উদ্দিন, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল হক, ক্ষেতমজুর সমিতির কার্যকরী সভাপতি সোহেল আহমেদ ও উদীচীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জমসেদ আনোয়ার তপন বক্তব্য দেন।