গদি ঠেকাতে বেতন বৃদ্ধি: খালেদা

ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2015, 02:44 PM
Updated : 29 June 2015, 05:02 PM

তার অভিযোগ, সাধারণ মানুষের দিকে সরকারের কোনো নজর নেই।

রোববার ইস্কাটন গার্ডেনের লেডিস ক্লাব মিলনায়তনে ইফতারে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান এই ইফতারের আয়োজন করেন।  

খালেদা জিয়া বলেন, “দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলেছে। সাধারণ মানুষ, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষেরা রোজার সময়ে দুই বেলা ভালো-মন্দ কিছু খেতে পারছে না। সরকার আছে শুধু কিভাবে লুটপাট করবে, কি করে ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করা যায়।”

“ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য এই অবৈধ সরকার কর্মকর্তাদের বেতন বাড়িয়েছে।” 

নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারের দমনপীড়নের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “প্রতিনিয়ত আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর জুলুম-নিযার্তন করছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলের জামিন হয়েছিলো, আবার তাকে হয়রানি করতে আটকিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

“অথচ আওয়ামী লীগের লোকজন খুন করে, গুম করে তারা মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। তাদের কাউকে ধরা হচ্ছে না।”

দেশের মুক্তির জন্য ইফতারে সকলকে দোয়া করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি শুধু এইটুকুই বলব, ২০ দলীয় জোট আমরা মন্ত্রী-এমপি বড় কিছু হওয়ার জন্য নয়। আমরা এদেশটাকে রক্ষা করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আমরা নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করব। আইনের শাসন, মানুষের মৌলিক অধিকার, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে চাই।”

ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-নেতাদের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে খালেদা বলেন, “এই জালেমরা একদিন বিদায় নেবে। আজ যারা বড় বড় কথা বলছে, বাজে নোংরা কথা বলছে, তাদের কি পরিণতি হবে, সেটা তারা বুঝতেও পারছে না।”

“যখন বুঝবে যে হ্যাঁ আমরা (সরকার) অন্যায় করেছিলাম, ভুল করেছিলাম, তখন তারা দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা পাবে না, আল্লাহর কাছেও ক্ষমা পাবে না। কোখাও তাদের জায়গা হবে না।”

খালেদা জিয়ার সঙ্গে এক টেবিলে ইফতার করেন শফিউল আলম প্রধান, অন্যদের মধ্যে এলডিপির অলি আহমেদ, জাতীয় পার্টির কাজী জাফর আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর আমীনুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিশের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইসহাক, এনডিপির খন্দকার গোলাম মূর্তজা, ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, লেবার পার্টির মুস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।

এছাড়া ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, বিজেপির সালাহউদ্দিন মতিন প্রকাশ, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, জমিয়তে উলামা ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, ডিএল’র সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, ইসলামিক পার্টির আবু তাহের চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির এমএম আমিনুর রহমান, জাতীয় দলের এহসানুল হুদা, জাগপার সহসভাপতি রেহানা প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমানও একই টেবিলে বসেন।

এছাড়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, ২০ দলীয় জোটের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া,  মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, সৈয়দ মাহবুব হোসেন, আহসান হাবিব লিংকন, এএসএম শামীম, খালেকুজ্জামান চৌধুরী, আসাদুর রহমান খান, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ,  অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, কবি আল মুজাহিদী ইফতারে উপস্থিত ছিলেন।