ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ সুপার ফরমান আলি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সোমবার তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলের কেবিনে চিকিৎসাধীন ছিলেন লতিফ সিদ্দিকী।
ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষক মোহাম্মদ নেছার আলম জানিয়েছেন, বিকালে পৌনে ৫টার দিকে লতিফ সিদ্দিকী হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান।
গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে প্রবাসীদের এক অনুষ্ঠানে হজ ও তাবলিগ জামায়াত নিয়ে মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েন তখনকার টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী লতিফ।
এরপর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে প্রায় দুই ডজন মামলা হয়।
বিভিন্ন ইসলামপন্থি দলগুলোর আন্দোলনের হুমকি ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সমালোচনার মুখে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয় লতিফকে।
২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর রাতে ভারত হয়ে দেশে ফেরেন লতিফ সিদ্দিকী। পরদিন তিনি আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।