এসব আবেদনের ওপর ২ জুলাই আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি হবে। সোমবার চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী শুনানির এ দিন ঠিক করে দেন।
পল্টন থানায় করা পৃথক তিন মামলায় ২১ জুন হাই কোর্ট মির্জা ফখরুলের অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে। ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে সোমবার রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আবেদন করে।
চেম্বার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
আর মির্জা ফখরুলের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন সগীর হোসেন লিওন।
পরে সগীর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২১ জুন হাই কোর্ট তিন মামলায় মির্জা ফখরুলের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে। এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক তিনটি আবেদন করে।
“চেম্বার বিচারপতি জামিনে স্থগিতাদেশ দেননি। আবেদনগুলো ২ জুলাই নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন। ফলে মির্জা ফখরুলের জামিন থাকছে।”
এর আগে ২৮ জুন ফখরুলের বিরুদ্ধে নাশকতার আরও তিন মামলায় হাই কোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখে আপিল বিভাগ।
ছয় মাস ধরে কারাবন্দি ফখরুল বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন।
দশম জাতীয় সংসদের বর্ষপূর্তি ঘিরে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের পর গ্রেপ্তার হন ফখরুল।
এরপর নাশকতার সাতটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বিচারিক আদালতে এসব মামলায় জামিন না পেয়ে হাই কোর্টে যান ফখরুলের আইনজীবীরা।
এর মধ্যে পল্টন থানায় গাড়ি পোড়ানো, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের এক মামলায় গত ১৬ এপ্রিল হাই কোর্ট থেকে ছয় মাসের অন্তর্তীকালীন জামিন পান মির্জা ফখরুল।
এরপর পল্টন থানার দুটি এবং মতিঝিল থানার এক মামলায় ১৮ জুন পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত ফখরুলকে জামিন দেয় হাই কোর্ট।
আর পল্টন থানার অন্য তিন মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর হয় ২১ জুন।
রাষ্ট্রপক্ষ ১৮ জুনের আদেশ স্থগিতে আপিল বিভাগে গেলে সেখানেও ফখরুলের জামিন বহাল থাকে। এখন ২১ জুনের আদেশের বিষয়েও একই পদক্ষেপ নিল রাষ্ট্রপক্ষ।
ফখরুল অসুস্থ হয়ে পড়লে আদালতের নির্দেশে গত ১৩ জুন তাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন।