সাংসদদের প্রতিবাদের মুখে পরে এরশাদের ওই বক্তব্য সংসদের কার্যবিবরণী থেকে বাদ দিয়েছেন স্পিকার। আর স্বামীর বক্তব্যের জন্য সংসদে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চেয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
সোমবার বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক সামরিক শাসক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ বলেন, “আমরা কথায় কথায় বলি, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, সংসদদের উপনেতা নারী, বিরোধী দলীয় নেতা নারী। এরাতো ‘শো পিস’। বাইরে কিন্তু এই অবস্থা না।”
সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতেই এরশাদের এ বক্তব্যে অধিবেশনে তীব্র আপত্তি ওঠে। নারী সাংসদরা এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে চিৎকার করতে থাকলে স্পিকার সবাইকে শান্ত থাকতে অনুরোধ করেন।
প্রতিবাদের মধ্যেই এরশাদ বলতে থাকেন, “বাইরে কিন্তু নারীরা অসহায়, বাইরে কিন্তু নারীরা অসহায়।
“আপনার মনে আছে, আমরা একুশে ফেব্রুয়ারি মালা দিতে যাই শহীদ মিনারে। সেখানে কেউ থাকে না। কোনো নারী সেখানে যায় না; ভয়ে যায় না।”
সাংসদদের প্রতিবাদের মুখে এরশাদ এক পর্যায়ে বলেন, “ঠিক আছে, আমি যদি বলে থাকি, তাহলে প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।”
তারপর সাবেক এই রাষ্ট্রপতি আবারও বলেন, “কিন্তু কথা হল, নারীরা সেখানে যায় না। তারা মধ্যরাতে যেতে ভয় পায়, কেন ভয় পায়?
“পহেলা বৈশাখের কথা মনে আছে, আমি ভুলিনি, কি ঘটেছিল, কোথায় ঘটেছিল, তার কী বিচার হয়েছিল?”
এরশাদের বক্তব্য শেষে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, “তিনি জাতীয় সংসদের বিভিন্ন পদে আসীন নারীদের সম্পর্কে যে অসংসদীয় শব্দ ব্যবহার করেছেন, সেইসব শব্দাবলী ৩০৭ বিধি, কার্যপ্রণালী বিধির আলোকে সংসদের কার্যবিবরণী থেকে অ্যাক্সপাঞ্জ করা হবে।”
বাজেট আলোচনায় অংশ নিতে দাঁড়িয়ে প্রথমেই স্বামীর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন বিরোধী দলীয় নেতা সাবেক ফার্স্ট লেডি রওশন এরশাদ।
তিনি বলেন, “আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত, হয়তো তার শব্দ চয়ন ঠিক ছিল না। সেইজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।”