সাকা চৌধুরীর আপিল শুনানি অব্যাহত

যুদ্ধাপরাধের দায়ে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিলের ওপর শুনানি অব্যাহত রয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 June 2015, 12:40 PM
Updated : 21 June 2015, 12:40 PM

রোববার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্ব চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ তৃতীয় দিনের মতো আপিলের শুনানি নেন।

বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

এ দিন আসামিপক্ষ পেপারবুক থেকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনা নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যা সংক্রান্ত তৃতীয় অভিযোগের পক্ষে দুইজন সাক্ষীর বক্তব্য উপস্থাপন করে। এরা হলেন গৌরঙ্গ সিংহ ও প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহ।

সাড়ে ১১ টা থেকে দুপুর সোয়া একটা পর্যন্ত শুনানি নিয়ে আদালত সোমবার সাড়ে ১১ টায় শুনানির পরবর্তী সময় রেখেছে।

আদালতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন এস এম শাহজাহান। এ সময় তার পক্ষে আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির।

শাহজাহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,  পেপার বুক থেকে সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে আনা তৃতীয় অভিযোগের পক্ষে চতুর্থ ও পঞ্চম সাক্ষী গৌরঙ্গ সিংহ ও প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহের সাক্ষ্য ও জবানবন্দি উপস্থাপন করেছি।

দেড় বছর আগে দেওয়া ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিলের শুনানি শুরু হয়। এটি আপিল আদালতে আসা যুদ্ধাপরাধের পঞ্চম মামলা।

রাউজানে কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের মালিক নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যা, সুলতানপুর ও ঊনসত্তরপাড়ায় হিন্দু বসতিতে গণহত্যা এবং হাটহাজারীর এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ছেলেকে অপহরণ করে খুনের দায়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।

এছাড়া হত্যা, গণহত্যার পরিকল্পনা সহযোগিতা এবং লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও দেশান্তরে বাধ্য করার মতো তিনটি অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যকে ২০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপহরণ ও নির্যাতনের দুটি ঘটনায় তাকে দেওয়া হয় পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড।

রায়ে বলা হয়, প্রসিকিউশন তার বিরুদ্ধে ২৩টি অভিযোগ এনেছে, তার মধ্যে নয়টি (২ থেকে ৮, ১৭ ও ১৮ নম্বর অভিযোগ) সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

১, ১০, ১১, ১২, ১৪, ১৯, ২০ ও ২৩ নম্বর অভিযোগ প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে পারেনি।আর প্রসিকিউশন শুনানির সময় কোনো সাক্ষী হাজির করতে না পারায় ৯, ১৩, ১৫, ১৬, ২১ ও ২২ নম্বর অভিযোগের মূল্যায়ন করেনি ট্রাইব্যুনাল।

সব দণ্ড থেকে বেকসুর খালাস চেয়ে ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন সাবেক মন্ত্রী সালাউদ্দিন কাদের।