কার বাজেট কে দেয়: মঈন খান

প্রস্তাবিত নতুন বাজেটকে ‘ভুয়া’ আখ্যায়িত করে বর্তমান সরকারের এই বাজেট প্রণয়নের অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 June 2015, 11:39 AM
Updated : 5 June 2015, 11:49 AM

শুক্রবার সকালে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আমি বাজেট নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। শুধু এইটুকু বলব- কার বাজেট কে দেয়? আজকে যারা বাজেট দিচ্ছেন, তারা কি জনগণের প্রতিনিধি? তাদের বাজেট দেওয়ার কোনো অধিকার নেই।

এই বাজেট নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কথা বলার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী।

মঈন খান বলেন, “আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই- আজ থেকে দেড় বছর আগে ৫ জানুয়ারি একটি ভুয়া নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ভুয়া সংসদ গঠিত হয়েছিল। সেই ভুয়া সংসদ কর্তৃক একটি ভুয়া সরকার হয়েছিল। ওই ভুয়া সরকার কর্তৃক গতকাল যে বাজেট দেওয়া হয়েছে, তা ভুয়া বাজেট ছাড়া আর কিছু নয়।”

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন।

আগামী অর্থবছরের বাজেটে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে মোট জিডিপি প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জিয়াউর রহমানের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘শহীদ জিয়ার আদর্শে গড়তে হবে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।

মঈন খান বলেন, দুর্নীতিতে আপাদমস্তক ডুবে গেছে এই সরকার। রাজধানীতে বড় বড় প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। অথচ ঢাকাবাসীর শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ যারা গ্রামে বাস করেন, তারা আজ অবহেলিত।

“আপনারা দেখান গতকালের বাজেটে সেই গ্রামের অবহেলিত মানুষের জন্য, দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমাকে আপনারা দেখান।”

‘উন্নয়নের জন্য গণতন্ত্রের কোনো প্রয়োজন নেই’ বলে ক্ষমতাসীনদের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এটা হতে পারে না। সুশাসন, মানবাধিকার ও মানুষের কথা বলার অধিকার ছাড়া কোনো উন্নয়ন টেকসই হতে পারে না। এটাই হচ্ছে পৃথিবীর অকাট্য সত্য।

দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশ অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের দর্শনকে নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। শহীদ জিয়ার আর্দশ মেনে চলতে হবে। আমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই, বাংলাদেশ মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে।

“হতাশা হবে, যাদের সঙ্গে দেশের মানুষ নেই তাদের। হতাশা আজকে আওয়ামী লীগের, হতাশা শেখ হাসিনার। তাদের আচার-আচরণ ও তাদের ‘বডি ল্যাংগুয়েজ’ হতাশা প্রকাশ পাচ্ছে।’’

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভাপতি শামা ওবায়েদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে যুব দল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হোসেন ও সাদেক আহমেদ খান বক্তব্য রাখেন।