প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে চিফ হুইপের কবিতা

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কবিতা লিখেছেন সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ, সংসদে আলোচনায় দাঁড়িয়ে তা পড়েও শুনিয়েছেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 June 2015, 11:33 AM
Updated : 2 June 2015, 01:17 PM

ভারতের পার্লামেন্টে স্থল সীমান্ত বিল পাস হওয়ায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানানোর প্রস্তাব তুলতে গিয়ে মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে স্বরচিত কবিতাটি পড়ে শোনান আওয়ামী লীগের এই নেতা।

আ স ম ফিরোজ পড়তে থাকেন- “...তুমি আছ বলেই জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ

                        শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ সব খাতে উন্নয়ন...

                        তুমি আছ বলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,

                        সমুদ্র জয় সম্ভব হয়েছে

                        পেয়েছি আরেকটি বাংলাদেশ...

                        তুমি আছ বলেই সেনা শাসনের বদলে গণতন্ত্র, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু

                        ... তুমি আছ বলেই নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরে আসছেন

                        অচিরেই তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন

                        তোমাকে অভিনন্দন, শান্তিতে নোবেল বিজয়ীদের পথের পথিক তুমি একজন।”

কবিতা পাঠের আগে স্পিকারকে উদ্দেশ করে আ স ম ফিরোজ বলেন, “আমি কবি, সাহিত্যিক নই; রাজনীতিবিদ। আমি মাঠের কবি। আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি...”

চিফ হুইপ কবিতা পড়ার সময় অধিবেশন কক্ষে ছিলেন না সংসদ নেতা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভারতের সংসদে স্থল সীমান্ত বিল পাস হওয়ায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনার মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশটির জনগণ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে ধন্যবাদ জানানোর প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন প্রধান হুইপ।

আ স ম ফিরোজ

নোটিস পড়ার সময় তিনি বলেন, “দীর্ঘ সময় ভারতের পার্লামেন্ট ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পৌঁছাতে পারেনি। আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত সমস্যার সমাধানে বিশ্বাসী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বিষয়টি সুরহার জন্য নিরন্তর চেষ্টা করেছেন এবং ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারকে বিষয়টি মর্মমূলে প্রবেশ করাতে সক্ষম হয়েছেন।”

ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি নামে পরিচিত ১৯৭৪ সালের স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফরে এসে প্রটোকলে স্বাক্ষর করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।

এর আওতায় বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের ১১১টি ছিটমহল এবং ভারতের সীমান্তে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল বিনিময় এবং ছয় দশমিক এক কিলোমিটার অমীমাংসিত সীমানা চিহ্নিত হওয়ার কথা।

বাংলাদেশ ওই চুক্তিতে অনুসমর্থন দিলেও জমি হস্তান্তরের জন্য ভারতের সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন ছিল, আর তা ঝুলে ছিল দীর্ঘ দিন।

গত মে মাসের শুরুতে ভারতের পার্লামেন্টে সংবিধান সংশোধনের ওই বিল পাসের মধ্য দিয়ে এত দিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটল এবং এরপরই আগামী ৬ জুন বাংলাদেশে আসতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী।