শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনা প্রস্তুতি সম্পন্ন

স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের সাফল্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংবর্ধনার আয়োজক জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ও সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2015, 11:30 AM
Updated : 27 May 2015, 11:30 AM

বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংবর্ধনার প্রস্তুতি বিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

ভারতের লোকসভা ও বিধানসভায় স্থল সীমান্ত চুক্তি বিল পাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যে ২৯ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ গণসংবর্ধনার আয়োজন করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

এ লক্ষ্যে সৈয়দ শামসুল হককে আহ্বায়ক করে ২০১ সদস্যের নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়।

দুই ঘণ্টার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য এবং সরকারের বিভিন্ন অর্জন নিয়ে বিশিষ্ট নাগরিকদের বক্তব্যের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের একটি পর্ব থাকছে।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে সরকারের বিভিন্ন অর্জন নিয়ে রচিত একটি গান পরিবেশন করা হবে বলে জানান সৈয়দ শামসুল হক।

সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতিবিদ কাজী খলিকুজ্জামান, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি, ইতিহাসবিদ মুনতাসির মামুন, শিল্পী হাশেম খান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বিএসএমএমইউ উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গণতন্ত্রের অব্যাহত চর্চার মধ্যে দৃঢ় ও গতি সম্পন্ন সমৃদ্ধি-প্রবৃদ্ধি-অগ্রগতি এবং মানুষ স্বস্তি-শান্তি ও নিরাপত্তার ভেতরে থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান সৈয়দ শামসুল হক।

তিনি বলেন, “আমরা বর্তমানে মনে করছি দেশে সুবাতাস বইছে। গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত রয়েছে। দেশে এই স্বস্তি-শান্তি-নিরাপত্তাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য, এই সুবাতাসকে বেগবান করার জন্য আমরা জাতীয় নাগরিক কমিটি একত্রিত হয়েছি।”

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকার ও বিরোধী দলের পাশাপাশি নাগরিক সমাজকে তৃতীয় পক্ষ অভিহিত দেশের উন্নয়নে নাগরিকদেরও সমান ও সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন এই লেখক।

সৈয়দ শামসুল হক বলেন, “শেখ হাসিনা সরকার প্রধান। তার অর্জনগুলো সরকারি মাধ্যমে যতই বলা হোক না কেন, তারপরও একটা কথা থাকে মানুষ কি ভাবছে; জনসাধারণ কি ভাবছে। এ সম্পর্কে কি চিন্তা করছে।”

জনসাধারণ বা নাগরিকের সেই চেতনা, উল্লাস, ভালোবাসার প্রকাশ ঘটিয়ে শেখ হাসিনার সমস্ত কার্যক্রমকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে এ সংবর্ধনার আয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সংবর্ধনার আয়োজন প্রসঙ্গে শামসুল হক বলেন, “ইন্দিরা-মুজিব সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন হতে চলেছে। এটি মানবিক অর্জন। এই বিশাল ঘটনা সুদূর প্রসারী চিন্তা করে রাষ্ট্রের মানুষের সামগ্রিক উন্নতিগুলো চিহ্নিত করে আমরা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দিতে চাই। একটা স্বীকৃতি দিতে চাই।”

মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের পক্ষের সবাইকে এ সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ জানিয়ে নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাসী সবাই আমন্ত্রিত।

“আগের যে কোন সময়ের তুলনায় সমৃদ্ধি-প্রবৃদ্ধি-অগ্রগতি অনেক দৃঢ়, গতি সম্পন্ন এবং ফলপ্রসূ। সবার উপরে মানুষের দেশ হিসেবে, মানবিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে এগিয়ে চলেছে।”