খালেদার মামলায় বাদীর সাক্ষ্য বাতিলের আবেদন নাকচ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সোয়া পাঁচ কোটি টাকা দুর্নীতির দুই মামলায় বাদীর দেওয়া সাক্ষ্য বাতিলের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2015, 07:27 AM
Updated : 25 May 2015, 12:03 PM

তবে মামলার শুনানির প্রস্তুতির জন্য খালেদার আইনজীবীদের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৮ জুন মামলার পরবর্তী দিন রাখা হয়েছে।

ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার সোমবার এই আদেশ দেন।

আদালতের আদেশে আসামি খালেদা জিয়া এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 

এদিন জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার প্রথম সাক্ষী হিসাবে জবানবন্দি দেন মামলার বাদী দুদক কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ।

আর জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার সাক্ষ্য শেষে আগেই জেরা শুরু হয়েছে।

তবে দুই মামলার কোনোটিতেই খালেদার আইনজীবীরা বাদীকে জেরা করেননি।

খালেদার আদালতে আসার তারিখ থাকায় ঢাকার বকশিবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন কারা অধিদপ্তর প্যারেড মাঠে আদালত প্রাঙ্গণ ও আশেপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়।  

খালেদা তার গুলশানের বাসা থেকে আদালতে এসে পৌঁছান বেলা ১১টার কিছুক্ষণ আগে।

আদালতে বেগুনি রংয়ের শাড়ি পরিহিত খালেদা জিয়াকে বেশ শান্ত দেখা যায়। পুরো সময় তিনি কারও সঙ্গে কথা বলেননি।

মামলার কার্যক্রম শেষে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এজলাস থেকে বেরিয়ে আসার সময় সাংবাদিকরা কুশল জানতে চাইলে বিএনপি প্রধান শুধু বলেন, “ভালো।”

খালেদার অন্যতম আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জানান, তারা আদালতে দুটি আবেদন করেছিলেন।

একটি আবেদনে বলা হয়, আগের কয়েকটি তারিখে খালেদা জিয়া আদালতে না আসায় তিনি সাক্ষ্য শুনতে পারেননি। এ কারণে বাদীর দেওয়া সাক্ষ্য বাতিলের আবেদন জানান তারা।

বার কাউন্সিল নির্বাচন নিয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের ব্যস্ততার কথা বলে শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য সময় চাওয়া হয় আরেকটি আবেদনে।

দুদকের পক্ষে এসব আবেদনের বিরোধিতা করেন মোশাররফ হোসেন কাজল।

দুই পক্ষের বক্তব্য শেষে বিচারক প্রথম আবেদনটি খারিজ করে আদেশে বলেন, সাক্ষ্য বাতিলের সুযোগ নেই।

সময়ের আবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত থাকাটা যৌক্তিক। প্রস্তুতির জন্য সময় দেওয়া যেতে পারে। তবে হাই কোর্টে যাবেন, সেজন্য সময় দিতে পারব না।” 

পরে ১৮ জুন মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করে দেন বিচারক।

কয়েকটি ধার্য দিনে আদালতে না আসায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদার বিরুদ্ধে এ দুই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত।

টানা তিন মাস অবরোধ-হরতাল ডেকে নিজের গুলশানের কার্যালয়ে অবস্থান করার পর গত ৫ এপ্রিল আদালতে হাজির হয়ে তিনি দুই মামলায় জামিন নেন এবং বাড়ি ফিরে যান।

এরপর ৫ মে আবারও তিনি সাক্ষ্যগ্রহণে গরহাজির থাকায় বিচারক ২৫ মে খালেদাকে অবশ্যই আদালতে হাজির করতে আইনজীবীদের নির্দেশ দেন।